Friday, December 23, 2022

১২৫  ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ - ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় - ফ্যাটি লিভারের ডায়েট চার্ট

১২৫ ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ - ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় - ফ্যাটি লিভারের ডায়েট চার্ট

 

ফিকশন ও নন-ফিকশন সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্য

ফিকশন ও নন-ফিকশন সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্য



ফিকশন ও নন-ফিকশন সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্য এই দুই বিষয়বস্তুর ব্যাপকতা প্রকাশ করে। আর, প্রথমেই বলে রাখি, ফিকশন শব্দটি ইংরেজির Fiction- শব্দের উচ্চারণের বাংলান্তর। ফিকশন শব্দের অর্থ কাল্পনিক। এবং, এক্ষেত্রে নন-ফিকশন শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয় বাস্তবিক। অর্থাৎ যা বাস্তব থেকে নেয়া। এই নিবন্ধটিতে আমি চেষ্টা করবো আপনাদের সামনে তুলে ধরতে ফিকশন এবং নন- ফিকশন সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্য।
যে সাহিত্যের উপাদানগুলো কাল্পনিক ভাবনা থেকে আসে, সেগুলোকে ফিকশন বলে। সাহিত্যে ফিকশন উপন্যাস পাওয়া যায়, আর দেখা যায় নাটক ও গল্প। ফিকশন বা কাল্পনিক সাহিত্যে উপাদান গুলো যেকোনো বাস্তব উপাদানের ভিত্তিতেও কল্পনায় নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা যায় ফিকশনটি বা কল্পনাকি বৈজ্ঞানিক হতে পারে, কিংবা অন্ধবিশ্বাস হতে পারে, হতে পারে একদম শুদ্ধ কল্পনাও; যাতে বাস্তবের কোনই উপাদান নেই।
ফিকশন সাহিত্য মানুষের কল্পনা শক্তিকে বাড়ায়ে দেয়। মানুষ তাঁর ভাবনার ভেতরে সাজাতে এবং বানাতে পারে নিজস্ব জগৎ। কাল্পনিক সাহিত্যের বিষয় কাল্পনিক হওয়া সত্ত্বেও সেগুলো মূলত বাস্তবের মানুষের জন্যই লেখা হয়। তাতে বেশির ভাগ সময় দর্শনই খুঁজে পাওয়া যায়, খুঁজে পাওয়া যায় নরতুন ভাবনা যা বাস্তব নয় তবে দেখায় এক নতুন বাস্তবের সত্তা।
তবে, এখন প্রশ্ন থাকে নন- ফিকশন কি? এই বিষয়েও ওপরের অংশে একটি বিষয় উল্লেখ করেছি। আর তা হল, যেহেতু ফিকশন মানে কাল্পনিক; সেহেতু নন- ফিকশন শব্দটি দাঁড়ায় বাস্তবিক সাহিত্যে। অর্থাৎ, যে সাহিত্যের উপাদান গুলো বাস্তব থেকে নেয়া এবং বাস্তবের সাথে পঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মিলে যায়, সেগুলোকেই নন- ফিকশন সাহিত্য বলে।
নন- ফিকশন সাহিত্যে বিষয় বস্তুগুলো বাস্তব থেকে নেয়া। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বাস্তবে ঘটে গেছে এমন, অথবা ঘটে যায় এমন, অথবা ঘটছে এমন বিষয়বস্তু নিয়ে সাহিত্য রচনা করা হয়। নন- ফিকশন সাহিত্য আমাদের চারপাশের ঘটে যাওয়া বাস্তবকে সাহিত্যে ধরে রাখে। এক্ষেত্রেও ভাবনার বিষয়টা এক মাত্রার বাস্তবে স্থির থাকে না, হয়ে যায় বহুমুখি।
ফিকশন ও নন-ফিকশন সাহিত্যের মধ্যের পার্থক্যগুলো বিষয়বস্তু দুটির একটিকে অপরটির চেয়ে ছোট করে না। বরং, একে ওপরের মধ্যের পার্থক্যগুলো বিষয়বস্তু দুটির ব্যাপকতা বোঝায়। এই মুহূর্তে চেষ্টা করবো ফিকশন ও নন- ফিকশন সাহিত্যের মধ্যের পার্থক্য গুলো যতটা সম্ভব সহজ ভাবে তুলে ধরার।
ফিকশন সাহিত্য বা কাল্পনিক সাহিত্য আধুনিক সাহিত্যে এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। ফিকশন সাহিত্যের মাধ্যমে আমাদের কল্পনাশক্তির বিকাশ ঘটেছে; বিকাশ ঘটেছে লিখিত সাহিত্যের। কারণ, ফিকশন সাহিত্যে বিষয়বস্তু বাস্তবের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। ফিকশন সাহিত্যে বিষয়বস্তু হতে পারে লেখকের একান্ত কাল্পনিক এবং সেখানে যেকোনো বস্তু দৃশ্যত হয় শুধুমাত্র লেখকের কল্পনা থেকে।
অপরদিকে, নন- ফিকশন সাহিত্যে বিষয়বস্তু থাকে বাস্তবের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে নন-ফিকশন সাহিত্যে মানুষ বাস্তবকে নতুন রূপে দেখে লেখকের ভাষার দক্ষতার মাধ্যমে । শব্দের ব্যাবহার এবং প্রত্যেক পঙ্কতিতে উঠে আসা বাস্তবতাকে নতুন করে ভাসিয়ে তোলে পাঠকের মনে। নন- ফিকশন সাহিত্যে অনেক সময় ফিকশনের মতো রুপকভাবেও দেখানো যায় বাস্তবতা।
ফিকশন সাহিত্য দেখায় মানুষের কল্পনার বাস্তবতা। আর, নন-ফিকশন দেখায় একজন মানুষের বাস্তবের ধারণা। তাঁর দেখা, শোনা এবং অনুভব করা দর্শন। ফিকশন সাহিত্য নন- ফিকশনের আরেকটি বর্ধিত রূপ। যখন মানুষ নন- ফিকশন সাহিত্যে নতুন ধারা উন্মোচন করতে পারেনা তখন তারা ফিকশন সাহিত্য রচনা করেন। আবার, নন- ফিকশন সাহিত্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের বর্ণনা উঠে আসে, এবং সময়ের কথা বলে এবং সেই সময়কার মানুষের জীবনাচরণ এবং বোধ-অনুভুতি তুলে ধরে।
ওপর দিকে একটি ফিকশন সাহিত্য একটি নতুন অনুভবের জন্ম দিতে পারে যা আগে কখনও অনুভব করা সম্ভব হয়নি। আর এই ভাবেই ফিকশন এবং নন- ফিকশন সাহিত্যের পার্থক্যগুলো একে ওপরের ব্যাপকতা প্রকাশ করে।
ফিকশন ও নন- ফিকশন সাহিত্যের ব্যাপকতা নিয়ে বলতে গেলে, বলে শেষ হবে না। কারণ, এই পুরো মহাবিশ্বের যেকোনো কিছুকে ফিকশন অথবা নন- ফিকশন ভাগে ভাগ করা যায়। আর, ফিকশন এবং নন- ফিকশন বিভাজন দুটি যে শুধুমাত্র একটা বিষয়বস্তুকে বাস্তব আর অবাস্তবে ভাগ করতে পারে; শুধু তাইই নয়। বাস্তব আর অবাস্তব পার্থক্যে বিশ্বাস-অবিশ্বাস এমনকি সত্য- মিথ্যাও নির্ভর করে।
ফিকশন বিষয়বস্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষকে ভাবায়; আর যখন মানুষ এমন কোন নন- ফিকশন সাহিত্য পাঠ করে যা তাদের বাস্তবের মধ্যে পড়ে না, কিন্তু বাস্তব; সেক্ষেত্রে তারা আবার নতুন করে বাস্তবতা নিয়ে ভাবে। তো এই হল মূলত ফিকশন ও নন- ফিকশন বা কাল্পনিক ও বাস্তব বিষয়বস্তুর সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্য এবং তাঁর ব্যাপকতা।
আশাকরি, যতটা সম্ভব সহজে আপনাদের কাছে ফিকশন ও নন- ফিকশন এর মধ্যে পার্থক্য বুকঝাতে পেরেছে।
নন-ফিকশন লেখা

নন-ফিকশন লেখা


নন-ফিকশন বলতে এমন যেকোনও লেখাকে বোঝায়, যা কোনও ঘটনা, স্থান, কাল বা পাত্র সম্পর্কে সঠিক ও বাস্তবিকভাবে সত্য তথ্য প্রদান করে। নন-ফিকশন হলো বাস্তব ও সত্য বিষয় ও ঘটনানির্ভর গদ্য সাহিত্য । নন-ফিকশন রচনার বিষয়বস্তু বস্তুনিষ্ঠ কিংবা ব্যক্তিনিষ্ঠ দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করা হয় । কদাচিৎ গল্প বা কাহিনীর মতোও রচিত হতে পারে।

নন-ফিকশন গদ্যসাহিত্যের একটি প্রধান শাখা বা শ্রেণী।

কথাসাহিত্য বা ফিকশন বা কল্পকাহিনী:
নন-ফিকশন সাহিত্যের বিপরীত শাখাটি হল কল্পকাহিনী বা কথাসাহিত্য, যেখানে স্থান, কাল ও পাত্র সম্পর্কে তথ্যগুলি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে কাল্পনিক হয়ে থাকে।
যেমনঃ গল্প,কবিতা,ছড়া,উপন্যাস ও বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী ।


নন-ফিকশন রচনাতে যেসব বর্ণনা থাকে, তা সম্পূর্ণ সঠিক বা সত্য হতে পারে বা না-ও হতে পারে। তবে নন-ফিকশন রচয়িতারা বিশ্বস্ততার সাথে সত্য ও সঠিক তথ্য লিখেছেন বলে দাবী করেন এবং পাঠকেরাও পড়ার সময় এ ব্যাপারটি মেনে নিয়েই পড়েন।

ইতিহাস,বিজ্ঞান,
প্রকৃতি,জীবনী,
ব্যবসা, শিক্ষা,
ভাষা,
ভ্রমণ,
রাজনীতি,
হাস্যরস,
খাদ্য, পানীয়,
স্বাস্থ্য, জীবনচর্যা,
ক্রীড়া,
শখ, শিল্পকলা,
বিনোদন,
গৃহ, উদ্যান চর্চা,
ধর্ম,গ্রন্হ প্রতিবেদন,
দিনলিপি,বিশ্বকোষ,
সাহিত্য সমালোচনা,
গবেষণা গ্রন্হ
ও প্রবন্ধ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে নন-ফিকশন বই রচিত হতে পারে।

Sunday, December 18, 2022

বার কাউন্সিলের এম সি কিউ পরীক্ষার প্রস্তুতি

বার কাউন্সিলের এম সি কিউ পরীক্ষার প্রস্তুতি

 




বার MCQ সকল পরীক্ষার্থীর উদ্দেশ্য আমার খোলা চিঠিঃ-

আগে নিজেকে স্থির করুন এ লাইনে আপনি ক্যারিয়ার করতে চান কিনা? যদি চান তাহলে যত ব্যস্তই থাকুন নিয়ম করে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় নিজে একা বাসায় পড়ালেখা করুন।

বার কাউন্সিল এর বিগত MCQ প্রশ্নের ধরন বুঝার চেষ্টা করুন।

যে বিষয়গুলো বুঝবেন না পৃথক খাতায় সেগুলো নোট রাখুন। এখানে একটু বলে রাখি কোন অভিজ্ঞ বলে থাকেন বেয়ার এ্যাক্ট (মূল আইন বই) না পড়লে আপনি ফেল আবার কোন অভিজ্ঞ বলে থাকেন মুল বই না পড়ে গাইডের উপর জোর দিন। আমার দৃষ্টিতে দুটাই ভূল ধারনা। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো আপনি বাজার হতে ভালো মানের একটি গাইড কিনে পড়বেন এবং পাশাপাশি মূল বই কাছে রাখবেন। অথার্ৎ আমি গাইড বই এর পাশাপাশি মূল বই রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। কারন পড়ায় সময় যেটা গাইড বইতে আপনার অস্পষ্ট মনে হবে কিংবা আরো অধিক তথ্য জানতে চান তখন সাথে সাথে আপনি মূল বইটি একটু চোখ বুলিয়ে নিলেন।

আপনার সুবিধা অনুযায়ি নোটকৃত বিষয় বুঝতে কোন বড় ভাই, বন্ধু বা ভালো কোচিং সেন্টারের সহযোগীতা নিন। তবে শর্ত হলো আগে নিজে বাসায় পুরো ৭টা বিষয় পড়ে শেষ করুন তারপর যে বিষয়টি বুজতে পারছেন না সেটার বিষয়ে কোচিং এর সহযোগিতা নিন।

এরপর আপনি নিজে যখন মনে করবেন সকল বিষয়ে আপনার একটি ভালো ধারনা তৈরী হয়েছে তারপর আপনি বিগত সনের সকল বার MCQ পরীক্ষার সমাধান করুন। এবং বাজারে বিভিন্ন মডেল টেষ্টের বই সংগ্রহ করে প্রতিদিন অনতত একটি মডেল টেষ্ট দিন। এই মডেল টেষ্ট দিতে গিয়ে আপনি আবার নতুন নতুন সমস্যায় পড়বেন তখন সে বিষয়গুলো আবার সমাধান করার চেষ্টা করুন এভাবে পরীক্ষা না দেওয়া পর্যন্ত চালাতে থাকুন কারন আইনের এ বিষয়গুলো হচ্ছে এমন যে আপনি গ্যাপ দিলে জানা বিষয়ও ভুলে যাবেন সুতরাং আপনাকে নিয়মিত পড়ে যেতে হবে। শুধু তাই নয় আপনার আশে পাশে যারা বার পরীক্ষার্থী রয়েছে সম্ভব হলে প্রতিদিন তাদের সাথে ৩০ মিনিট পড়ার বিষয়ে আলোচনা করুন দেখবেন নতুন নতুন বিষয় আপনি জানতে পারছেন।

প্রতিদিন যে বিষয়ে পড়লেন সে বিষয় হাটতে - চলতে- কাজ করতে মনে মনে রিভিশন দিন। প্রয়োজনে মোবাইলে স্কৃনশর্ট রাখুন।

নিয়মিত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চান।

শর্টকাট পাশ করার বিভিন্ন চিন্তা পরিহার করুন।

চটকদার বিজ্ঞাপন সম্বলিত কোচিং সেন্টার / ব্যক্তিকে পরিহার করুন। কারন এ গ্রুপে এমন অনেক পাবেন যে আপনাকে পাশ করার নিশ্চয়তা দিয়ে পড়াবে। মনে রাখতে হবে পড়া কিন্তু আপনাকে শেষ করতে হবে এরা কেউই গিয়ে আপনার পরীক্ষা দিবে না। সুতরাং আপনি ফেল করলে তখন আপনাকে শুনতে হবে "আপনি আমাদের পরামর্শ অনুযায়ি পড়েন নি আমার অন্য সকল ছাত্র তো পাশ করেছে"।

বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে অহেতুক মন্তব্য না করে সে সময়টা পড়াতে কাজে লাগান। কারন এ বিষয়ে মন্তব্য করা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।

সকল পরীক্ষার্থীর জন্য দোয়া ও শুভকামনা

-------------------------------------------

মোঃ সাইফুল ইসলাম (ফয়সাল)

ইনকাম টেক্স প্রেকটিশনার ও

বার ভাইভা পরীক্ষার্থী।

ইংরেজী বর্ণক্রম অনুযায়ী আকাশের ৮৮ টি তারকামন্ডল-এর নাম

ইংরেজী বর্ণক্রম অনুযায়ী আকাশের ৮৮ টি তারকামন্ডল-এর নাম

 


আকাশটাকে পর্যবেক্ষণে সুবিধার জন্য ৮৮ টি তারকামন্ডল বা Constellation – এ ভাগ করা হয়েছে  

ইংরেজী বর্ণক্রম অনুযায়ী তাদের নাম দেওয়া হলো ।

A তে আছে ৮ টা তারামন্ডল =

Auriga, Andromeda, Aries, Argonavis,

Antila, Aquila, Ara, Aquarius

B তে আছে ১ টা তারামন্ডল =  Bootes

C তে আছে ২২ টা তারামন্ডল =

Caelum, Camelopardalis, Cancer, Canes Venatici,

Canis Major, Canis Minor, Capricornus, Carina,

Cassiopeia, Centaurus, Cepheus, Cetus

Chamaeleon, Circinus, Columba, Coma Berenices,

Corona Australis, Corona Borealis, Corvus, Crater,

Crux, Cygnus

D তে আছে  ৩ টা তারামন্ডল = Dorado, Draco, Delphinus

E তে আছে  ২ টা তারামন্ডল = Eridanus, Equuleus

F তে আছে  ১ টা তারামন্ডল = Fornax

G  তে আছে  ২ টা তারামন্ডল = Gemini, Grus

H  তে আছে  ৪ টা তারামন্ডল = Hercules, Hydra, Horologium, Hydrus

I  তে আছে  ১ টা তারামন্ডল = Indus

L  তে আছে ৮ টা তারামন্ডল =

Lacerta, Leo, Leo minor, Lepus,

Libra, Lupus, Lynx, Lyra

M  তে আছে টা তারামন্ডল =

Mensa, Mircoscopium, Monoceros, Musca

N  তে আছে  ১ টা তারামন্ডল = Norma

O তে আছে   টা তারামন্ডল = Octans, Ophiuchus, Orion

P  তে আছে ১০ টা তারামন্ডল =

Pegasus, Perseus, Phoenix, Pictor,

Pisces, Piscis Austrinus, Pleiades, Praesepe,

Puppis, Pyxis

R  তে আছে ১  টা তারামন্ডল = Reticulum

S  তে আছে ৬ টা তারামন্ডল =

Sculptor, Sextans, Scorpius, Scutum,

Sagitta, Sagittarius

T  তে আছে ৫ টা তারামন্ডল =

Taurus, Telescopium, Triangulum, Triangulum Australis, Tucana

U  তে আছে ২ টা তারামন্ডল = Ursa major, Ursa minor

V  তে আছে  ৪ টা তারামন্ডল = Volans Piscis, Vulpeculla, Vela, Virgo

 

Thursday, December 15, 2022

ছাদে সরিষা বাগান করার সহজ পদ্ধতি

ছাদে সরিষা বাগান করার সহজ পদ্ধতি

 


হেমন্ত কাল ও শীত কালে সরিষা বোনার সময়  

ছাদ বাগানে আজই সরিষা বপন করুন । মোটামোটি ০৫ দিনের মধ্যে এমন ফুল পাবেন এবং ৫০ দিন পর বোনাস হিসেবে সরিষা পাবেন ।

১২ ইঞ্চি টবে গোবর সার দিয়ে মাটি তৈরী করে এক চা চামচ সরিষা বপন করুন । সরিষা বপনের তিন দিন পর ছোট গাছ হবে । তারপর প্রতি দুই দিন পর পানি দিতে হবে ।

সরিষা ছাদ বাগানে স্হান দেওয়ার গুরুত্ব অনেক :

১. ফুল, পাখি ও মৌমাছির সমারোহ বৃদ্ধির জন্য ।

২. ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্যের জন্য

৩. নিদ্রাহীনতা ও ক্যান্সার প্রতিরোধক

৪.শ্বাসকষ্টের প্রদাহ হ্রাস করে।

৫. রক্ত সঞ্চালন, হজম প্রক্রিয়া এবং হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

৬. সেক্স পাওয়ার বাড়ানোর জন্য

৭. খুশকি দূর করে এবং চুল বৃদ্ধি করার জন্য

৮. চুল পাকা রোধ করার জন্য

৯. ত্বকের কালো দাগ দূর করার জন্য

১০ .ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বকের প্রদাহ দূর করে।

১১. নাকের বদ্ধভাব দূর করার জন্য

১২. সরিষা খেতে সেলফি তোলার জন্য

ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি .....

 

ছাদে জলজ উদ্যান করার নিয়ম

ছাদে জলজ উদ্যান করার নিয়ম

 


ছাদে জলজ উদ্যান করার নিয়ম :

প্রয়োজনীয় উপকরণ :

১.২৪ ইঞ্চি ব্যাসের চারি বা বড় পানির পাত্র যা সাধারণত গরুকে পানি খাওয়ানোর জন্য ব্যবহার হয় । কুমারদের কাছে পাওয়া যাবে । দাম কমপক্ষে ৩০০ টাকা । সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা । ঢাকার গাবতলীর কাছে পালপাড়ায় কুমাররা বিক্রয় করে । আপনার এলাকায় খোজ নিলে পাবেন ।

২. সিএনজি চালিত অটোরিক্সার পুরাতন চাকা । দাম ৩০ হতে ৬০ টাকা ।

৩. দেড় বা দুই কেজি ওজনের রসমালাই রাখার বাটি যাতে বেলে দোয়াশ মাটি রাখতে । ৪. জলজ উদ্ভিদ । যেমন : শাপলার কন্দ বা চারা গাছ । মাখনার চারা গাছ । অথবা বিভিন্ন ধরনের জলজ উদ্ভিদ ।

ছাদে স্হাপন করার নিয়ম :

১. রৌদ্র পরে ও আলো পাওয়া যাবে এমন স্হান সিএনজির পুরাতন চাকাটা স্হাপন করুন । সিএনজির চাকাটার উপর ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের চারিটা স্হাপন করুন ।

২. রসমালাইয়ের বাটি বেলে দোয়াশ মাটি দিয়ে ভরাট করুন ও পানি দিয়ে দুই দিন ভিজিয়ে রাখুন । দুই দিন পর শাপলা অথাব যে কোন জলজ উদ্ভিদ লাগান ।

৩. চারিটা পানি দিয়ে পূর্ণ করুন ।

৪. চারির পানির মধ্যে জলজ উদ্ভিদসহ রসমালাইলের বাটিটা ডুবিয়ে দিন । এভাবে সর্বোচ্চ তিনটা রসমালাইয়ের বাটি ডুবিয়ে দেওয়া যেতে পারে ।

৫. যখন পানি ময়লা হবে তখন পানি বদল করুন প্রয়োজন অনুযায়ী । গাছের পাতা বেশি হলে কমিয়ে দিন ।

 

বাংলাদেশি গার্ডেন

বাংলাদেশি গার্ডেন


 


প্রতিটা জাতির বাগান করার নিজস্ব পদ্ধতি আছে । আমাদের দেশ এক সময় শাসন করতো তুর্কি, মোঘল ও ইরানীরা । তারা তুর্কি , মোগল ও ইরানী বা পার্শি রীতি বাগান করতো । যেমন : লালবাগ কেল্লা গেলে দেখবেন ইরানী পদ্ধতিতে বাগান ।

কুরআনের আয়াতের বিষয়কে কেন্দ্র করে কুরআনিক গার্ডেন হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ।

বাংলাদেশিদের বাগান করার নিজস্ব পদ্ধতি নেই - এই কথাটা আমরা ভুল প্রমাণ করবো । বাংলাদেশিদের বাগান করার নিজস্ব পদ্ধতি আছে । আর তাহলো বাংলাদেশি গার্ডেন বা বাংলাদেশি উদ্যান ।

গার্ডেনে শুধু মাত্র বাংলাদেশি ফুল-গাছ-লতা-পাতা থাকবে । বর্তমানে এমন গার্ডেন নেই । এই উদ্যান আমাদের মূল্যবোধ, আবহাওয়া ও মাটিকে ধারণ করবো ।

 

সংসদ নির্বাচন এক নজরে ( ১২ টি নির্বাচন  )

সংসদ নির্বাচন এক নজরে ( ১২ টি নির্বাচন )

 



সংসদ নির্বাচন এক নজরে ( ১২ টি নির্বাচন  )

. ১ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ই মার্চ ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় লাভ করে এবং ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসন লাভ করে যেখানে এগারো জাতীয় সংসদ সদস্য অবাধে ভোটবিহীনভাবে জয় লাভ করে মোট ভোট সংগৃহীত হয়েছিল ৫৪.%

. ২য় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জয় লাভ করে; তারা জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২০৭টি আসন লাভ করে মোট ভোট সংগৃহীত হয়েছিল ৫১.% নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (মালেক) ৩৯, আওয়ামী লীগ (মিজান) , জাসদ , মুসলিম লীগ ডেমোক্রেটিক লীগ ২০, ন্যাপ (মোজাফ্ফর) , বাংলাদেশ জাতীয় লীগ , বাংলাদেশ গণফ্রন্ট , বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল , বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন , জাতীয় একতা পার্টি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৬টি আসনে জিতেন

. ৩য় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ই মে ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনে মোট ,৫২৭ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসন নিয়ে জয় লাভ করে মোট ভোটারের ৬১.% ভোট সংগৃহীত হয়েছিল পূর্বের নির্বাচনের বিজয়ী বিএনপি এই নির্বাচনটি বর্জন করেছিল

. ৪র্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৮৮ বাংলাদেশে ৩রা মার্চ ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনটি বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রধান দলই বর্জন করেছিল; যেমন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জয় লাভ করে, তারা ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৫১টি আসন লাভ করে মোট ভোটারদের মধ্যে ৫২.% ভোট গৃহীত হয়েছিল

 

 

. ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২৭শে ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল নির্বাচনে দুটি প্রধান দল, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিল শেখ হাসিনা; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতৃত্বে ছিল খালেদা জিয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের বিপরীতে ৪২৪ জন সতন্ত্র প্রার্থীসহ ৭৫টি দল থেকে মোট ২৭৮৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয় নির্বাচনে খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপি জয় লাভ করে তারা ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৪২টি আসন লাভ করে মোট ভোট গৃহীত হয়েছিল ৫৫.%

. ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল নির্বাচনটি বর্জন করেছিল মোট ভোট গৃহীত হয়েছিল মাত্র ২১% বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাচনে জয় লাভ করে এবং ৩০০টি আসনের মধ্যে ৩০০টি আসনই লাভ করে পরবর্তীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন জুনে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে ছোট সংসদ ছিল এটি

.  ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৯৬, জুন ১২, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনে দুটি প্রধান দল, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিল শেখ হাসিনা; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতৃত্বে ছিল খালেদা জিয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের বিপরীতে ২৮১জন সতন্ত্র প্রার্থীসহ ৮১টি দল থেকে মোট ২৫৭৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয় ৩০০টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসনে জয়লাভ করে উক্ত নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থীরা .৬৭% এবং দলীয় প্রার্থীরা ৭৪.৮২% ভোট লাভ করে

. ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০০১, অক্টোবর , ২০০১ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনে দুটি প্রধান দল, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিল শেখ হাসিনা; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতৃত্বে ছিল খালেদা জিয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের বিপরীতে ৪৮৪জন সতন্ত্র প্রার্থীসহ ৫৪টি দল থেকে মোট ১৯৩৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয় এটি হলো ১৯৯৬ সালে চালু হওয়া তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বিতীয় নির্বাচন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন লতিফুর রহমানএই নির্বাচন  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) জয় লাভ কোরে

. ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২৯শে ডিসেম্বর ২০০৮ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ-এর নেতৃত্বাধীন সামরিক সরকারের অধীনে সামরিক সরকার ২০০৭ সালের শুরুর দিকে জরুরী অবস্থা জারি করে যা ২০০৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর তুলে নেওয়া হয় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেক জাতীয় আন্তর্জাতিক সংস্থাকে নির্বাচন পর্যবেক্ষনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল এবং এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয় লাভ করে

১০. ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৪ বাংলাদেশে ৫ই জানুয়ারি ২০১৪ ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয় নির্বাচনটি নবম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অধিকাংশ দলই বর্জন করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সতন্ত্রসহ ১৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে 

১১. একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ বাংলাদেশে ৩০ শে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি আসন অর্জন করে।

১২. দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় । বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২২৪, স্বতন্ত্র ৬২ ও জাতীয় পার্টি ২ আসন লাভ করে। আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।