Wednesday, March 23, 2022

সোভিয়েত রাশিয়ার প্রভাব ঠেকাতে পাশ্চাত্যের অনুরোধে ওয়াহাবিবাদের প্রচার -ওয়াশিংটন পোস্টকে সউদী যুবরাজ

সোভিয়েত রাশিয়ার প্রভাব ঠেকাতে পাশ্চাত্যের অনুরোধে ওয়াহাবিবাদের প্রচার -ওয়াশিংটন পোস্টকে সউদী যুবরাজ

 শীতল যুদ্ধ চলাকালে সোভিয়েত ইউনিয়নের মোকাবেলা করতে পশ্চিমা দেশগুলো সউদী আরবের সাহায্য চেয়েছিল। তারই পরিণতিতে সউদী অর্থায়নে বিশে^ ওয়াহাবিবাদ ছড়িয়ে দেয়া শুরু হয়। সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ওয়াশিংটন পোস্টের সাথে এক সাক্ষাতকারে এ কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্র সফরের শেষ দিনে ২২ মার্চ ওয়াশিংটন পোস্টের সাথে যুবরাজের ৭৫ মিনিট ব্যাপী সাক্ষাতকার অনুষ্ঠিত হয়।



যুবরাজ পত্রিকাকে বলেন, শীতল যুদ্ধের সময় সউদী আরবের পশ্চিমা মিত্ররা মুসলিম দেশগুলোতে সোভিয়েত ইউনিয়নের অগ্রসর হওয়া ঠেকাতে উঠে পেেড় লাগে। তার ভাষায়, মুসলিম দেশগুলো যেন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব বলয়ে চলে না যায়, সেজন্যই পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো গত শতকের ’৭০ এর দশকে সউদী আরবকে সাহায্য করতে অনুরোধ করেছিল। সেই অনুরোধে বিভিন্ন দেশে মসজিদ-মাদ্রাসায় অর্থ ঢেলে ওয়াহাবি মতাদর্শের বিস্তারে কাজ শুরু করে সউদী আরব।
মুসলিমদের প্রধান দুটি ধারার অন্যতম সুন্নিদের মধ্যে ওয়াহাবিবাদের গোড়াপত্তন আঠারো শতকে আরবের নজদ থেকে মোহাম্মদ ইবনে আবদ আল ওয়াহাবের মাধ্যমে। ওয়াহাব ছিলেন বারো শতকের ইবনে তাইমিয়্যাহ দ্বারা প্রভাবিত; যিনি মনে করতেন, রাষ্ট্র হবে ধর্মের অনুগামী। ইবনে তাইমিয়্যাহ ছিলেন মুক্ত মত চর্চার ঘোর বিরোধী।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙে পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপে সউদী আরব গঠন করে মসনদে বসে সউদ পরিবার; তখন তাদের সঙ্গে জোট বাঁধে ওয়াহাবিরা। রাজ পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় ছড়াতে থাকে ওয়াহাবিদের উগ্র মত।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে এক পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ জানায়, পরমতসহিষ্ণু সুন্নিদের উগ্র ওয়াহাবিবাদে দীক্ষিত করতে ১৯৭০ থেকে চার দশকে ১ হাজার কোটিরও বেশি ডলার ঢালে সৌদি আরব। এই অর্থের ২০ শতাংশের মতো আল কায়দাসহ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে যায় বলে ইউরোপের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে টেলিগ্রাফ জানায়।
২০১৩ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ওয়াহাবিবাদকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসের আঁতুরঘর’ হিসেবে চিহ্নিত করে।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ওয়াহাবিবাদের প্রচার যেভাবে শুরু হয়েছিল, তা পরে আর সৌদি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। তিনি বলেন, এখন সরকারের বদলে সউদী আরব ভিত্তিক বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই অর্থায়ন হচ্ছে।
এদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব বলয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্ব। ’৯০- এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর শীতল যুদ্ধের অবসান ঘটে। শীতল যুদ্ধের অবসানের পর মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী; যাদের অধিকাংশই ওয়াহাবি দর্শনে দীক্ষিত, যাদের সালাফিও বলা হয়।
আলোচনায় আরেকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তা হল মার্কিন মিডিয়ার আগের এক দাবি যে বিন সালমান বলেছিলেন যে হোয়াইট হাউসের সিনিয়র উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার তার পকেটে রয়েছেন।
বিন সালমান এ মর্মে প্রকাশিত খবরগুলোও অস্বীকার করেন যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা কুশনারের সাথে রিয়াদে বৈঠক কালে তিনি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সউদী দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালানোর অনুমোদন চেয়েছিলেন বা সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন অভিযানে গ্রেফতার ও অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং কয়েক বছর ধরে তা চলছিল।
যুবরাজ বলেন, কুশনারের সাথে গোপন তথ্য বিনিময় অথবা ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে সউদী স্বার্থ হাসিলে তাকে ব্যবহার তার জন্য আসলেই পাগলামি হবে। তিনি বলে, তাদের মধ্যকার সম্পর্ক স্বাভাবিক সরকারী কাজকর্মের প্রেক্ষিতেই। তবে তিনি স্বীকার করেন তিনি ও কুশনার অংশীদারির চাইতেও বেশি হচ্ছেন বন্ধু। যুবরাজ বলেন,মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও হোয়াইট হাউসের মধ্যে অন্যদের সাথেও তার বন্ধু¦ আছে।
যুবরাজ ইয়েমেন যুদ্ধ প্রসঙ্গেও কথা বলেন।
ইয়েমেন যুদ্ধে হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছে। এ সব মৃত্যু ও বেসামরিক ব্যক্তিদের জীবনের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শনের জন্য সউদী জোটকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে রিয়াদ এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিন সালমান বলেন, তার দেশ ইয়েমেনে মানবিক পরিস্থিতি উন্নয়নের কোনো সুযোগকে পাশ কাটিয়ে যায়নি। তিনি বলেন, ভালো সুযোগ মন্দ সুযোগ বলে কিছু নেই। বিষয় হচ্ছে মন্দ ও খারাপের মধ্যে।
সউদী যুবরাজের এ সাক্ষাতকার প্রথমে অফ দি রেকর্ড হিসেবে গ্রহণ করা হয়। পরে সউদী দূতাবাস এ সাক্ষাতকারের নির্দিষ্ট অংশ ওয়াশিংটন পোস্টকে প্রকাশের অনুমতি দেয়।


পাশ্চাত্যের অনুরোধে ওয়াহাবিবাদের প্রচার -ওয়াশিংটন পোস্টকে সউদী যুবরাজ

সোভিয়েত প্রভাব ঠেকাতে--

প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৮ এএম, ৩০ মার্চ, ২০১৮
https://www.dailyinqilab.com/article/123884/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%80-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C


Friday, March 4, 2022

রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের ১০ম দিন

রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের ১০ম দিন

 

আজ ৪ঠা মার্চ ২০২২ ।  ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আজ ১০ তম দিন । ইউক্রেন ক্রমাগত পরাজিত হতে যাচ্ছে । ইউক্রেনের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে রাশিয়া দখল করে ফেলেছে ।

 


রাশিয়ান সৈন্য বাহিনী ইউক্রেনের উত্তর দিকে রাজধানী কিয়েভ  অভিমুখে ইউক্রেনের উত্তর পশ্চিম দিক হতে অগ্রসর হচ্ছে । ইউক্রেন সৈন্যরা যথেষ্ঠ প্রতিরোধ করলেও রাশিয়ান সৈন্যরা এগিয়ে যাচ্ছে ।  

 

ইউক্রেনের দক্ষিণের সেনা ঘাটি শহর ও শিল্প এলাকা মিকোলাইভ রাশিয়া অধিকার করার দ্বারপ্রান্তে । এই শহর পুরোপুরি রাশিয়া দখল করে নিলে ইউক্রেন অর্থনৈতিকভাবে ও সামরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্হ হবে ।  

 

ইউক্রেনের দক্ষিণ পশ্চিমস্হ কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী ওডেসা বন্দর শহরে রাশিয়ান নৌ বাহিনী প্রবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে । ওডেসা বন্দর রাশিয়া দখল করে নিলে ইউক্রেন সমুদ্রপথে বিশ্বের সাথে যোগাযোগ পথ ৯৫% হারিয়ে ফেলবে ।

 

দক্ষিণ-পূবের  গুরুত্বপূর্ণ মাইরিয়োপোল বন্দর শহর রাশিয়ান সৈন্যরা যুদ্ধ করে সফলতা লাভ করেছে ।

 

মারিয়োপোল ইউক্রেনের তৃতীয় নৌ বন্দর ।  রাশিয়া দক্ষিণ দিক থেকে ইউক্রেনকে জলপথ হতে বিচ্ছিন্ন করতে চেষ্টা করছে যাতে বিদেশের কোন যুদ্ধ জাহাজ ইউক্রেনকে সমুদ্রপথে সাহায্য করতে না পারে ।

 

ইউক্রেনের খারকভ শহরে যুদ্ধ চলছে ।

রাজধানী কিয়েভের চারপাশে প্রচুর সৈন্য সামন্ত জড়ো করেছে রাশিয়া । রাশিয়া ইউক্রেনকে চারপাশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছে ।

 

রাশিয়া যুদ্ধে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে । কারণ ইউক্রেন প্রবলভাবে প্রতিরোধ করছে । অপর দিকে রাশিয়া আগ্রাসন চালাচ্ছে । ইউক্রেন একাই মরণপণ লড়াই করে যাচ্ছে । রাশিয়া বিপুল সমরাস্ত্র ও সৈন্য বিসর্জন দিয়েছে ।

 

ইউক্রেনের জনগণ গ্রীক আর্থডক্স খৃস্টান হলেও বিপুল সংখ্যক ইউক্রেনীয় জনগন মুসলিম । এরা ইউক্রেনের আদিবাসী সম্প্রদায় । এরা জাতিগতভাবে ক্রিমিয়ান তাতার ও ভল্গা তাতার জনগোষ্ঠীর লোক । এদের ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে তুরস্কে ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে মিল রয়েছে ।

 

ইউক্রেনের মুসলিমরাও ইউক্রেনের জনগন হওয়ায় যুদ্ধের শুরু হতে মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরোদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে । ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মুসলিম । সংখ্যাটি কম নয় ।

 

ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলে এক সময় মুসলিমরা ক্রিমিয়া খানাত নামক মুসলিম দেশ কায়েম করেছিলো । রাশিয়ান সম্রাজ্য সপ্তদশ শতকে এই দেশ দখল করে নেয় । পরে ক্রিমিয়া ইউক্রেনের অংশ হয় । কয়েক বছর আগে রাশিয়া আবার ইউক্রেন হতে ক্রিমিয়া দখল করে নেন ।

 

ইউক্রেনের ভাগ্যের সাথে ক্রিমিয়ার মুসলিমদের ভাগ্য জড়িত । ইউক্রেন পরাজিত হলে ক্রিমিয়ার মুসলিমদের অবস্হাও সুখকর হবে না ।

 

Thursday, March 3, 2022

বখতিয়ার খিলজির স্বর্ণমুদ্রা

বখতিয়ার খিলজির স্বর্ণমুদ্রা

 

১২০৪ খ্রিঃ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজি বাংলা বিজয় করেন এবং তিনি স্বর্ণমুদ্রার প্রচলন করেন । তাঁর মুদ্রায় তিনি ভারতের প্রথম মুসলিম রাজবংশ প্রতিষ্ঠাকারী মুহাম্মদ ঘোরি বা মুহাম্মদ বিন সাম এর নাম ব্যবহার করেন ।



বখতিয়ার খিলজির স্বর্ণমুদ্রা :

আসলে বঙ্গ বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতেই স্মারক মুদ্রা হিসেবে এই মুদ্রা চালু হয়েছিল । মুদ্রাটির বিবরণ নিচে দেওয়া হলো ।

ধাতুঃ সোনা

সামনের পিঠঃ বৃত্তের মধ্যে গদা হাতে অগ্রসরমান অশ্বারোহী ।

উৎকীর্ণ লিপিঃ আরবী- ফি মুন্তাসফ রমাজান সানহ আহদি ওয়া সাতমায়াহ ।

নাগরী- গৌড় বিজয় ।

পেছনের পিঠঃ আরবি লিপি- আল সুলতান আল মুয়াজ্জাম মুইজুদ্দুনিয়া ওয়াদ্দিন আল মুজাফফর মুহাম্মদ বিন সাম ।



বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য এই মুদ্রার একটি আছে লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে এবং অন্যটি আছে ওয়াশিংটেনের মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউটে ।

 

পরবর্তীতে বখতিয়ার খিলজির শাহাদাতের পর ১৩৩৮ খ্রিঃ পর্যন্ত ২২ জন মুসলিম শাসক দিল্লির সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন । তাদের মধ্যে ৬ জন শাসক মুদ্রার প্রচলন করেছিলেন । তাঁদের নাম নিচে দেওয়া হলো । উল্লেখ্য যে, এদের মুদ্রাগুলো প্রধানত রূপার তৈরী ।

নাম ও রাজত্বকার

১. গিয়াস উদ্দিন ইওয়াজ খিলজি (১২১১ খ্রিঃ – ১২২৭ খ্রিঃ)

২. মুঘিস উদ্দিন ইউজবক (১২৪৬ খ্রিঃ – আনুমানিক ১২৫১ খ্রিঃ)

তাঁদের মুদ্রার বৈশিষ্ট্যঃ

সামনের পিঠে কলেমা উৎকীর্ণ ছিল । তারিখও উল্লেখ করা হতো । পিছনের পিঠে শাসকের নাম ও পদবী উল্লেখ করা হতো । মুদ্রাগুলো ছিল রূপার তৈরি ।

৩. রুকনুদ্দিন কায়কাউস ( ১২৯১ খ্রিঃ- ১৩০২খ্রিঃ)

৪. সামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ ( ১৩০২ খ্রিঃ- ১৩১৮খ্রিঃ)

 

৫. শিহাব উদ্দিন বুঘরা শাহ (১৩১৮ খ্রিঃ)

৬. গিয়াস উদ্দিন বাহাদুর শাহ ( আনুমানিক ১৩১০ খ্রিঃ – আনুমানিক ১৩২২ খ্রিঃ)

তাঁদের মুদ্রার বৈশিষ্ট্যঃ

কলেমার স্হানে বাগদাদের শেষ আব্বাসিয় খলিফা আল মুস্তাসিম এর নাম উৎকীর্ণ থাকতো । মুদ্রাগুলো ছিল রূপার তৈরী । তবে সামসুদ্দিন ফিরোজ শাহের কিছু সোনার মুদ্রা ছিল ।

 

তথ্যের সূত্রঃ মুদ্রা ইতিহাস ও সংগ্রহ – মাহমুদুল হাসান,  জাগৃতি প্রকাশনী ঢাকা,প্রথম প্রকাশ ২০০২,পৃষ্ঠা ১৩৯ ।