বর্তমান শতাব্দীর সবচেয়ে দীর্ঘতম আংশিক চন্দ্রগ্রহণ
হতে যাচ্ছে আজ। গত ৫৮০ বছরের মধ্যে এতো দীর্ঘ সময়ের জন্য চন্দ্রগ্রহণ আর হয়নি।
সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ যখন একই সরলরেখায় চলে আসে তখনই
চন্দ্রগ্রহণ হয়। সূর্য এবং চাঁদের মাঝখানে পৃথিবী চলে আসে। তখন সূর্যের আলো
পৃথিবীতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে চাঁদের উপরে পড়তে পারে না।
চাঁদ যেহেতু সূর্যের আলোয় আলোকিত, সেজন্য সূর্যের আলো পৃথিবীর
দ্বারা আটকে গেলে চন্দ্রগ্রহণ হয়।
চন্দ্রগ্রহণের সময় আমরা চাঁদের পিঠে পৃথিবীর ছায়া দেখি।
তবে
চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে যায় না । পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ
করে কিছুটা আলো চাঁদের উপর পড়ে। তখন অনেকটা লালচে আকার ধারণ করে।
এবারের চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের প্রায় ৯৭ শতাংশ পৃথিবীর ছায়া
দ্বারা ঢেকে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।
আংশিক
চন্দ্রগ্রহণের হবে ছয় ঘণ্টার বেশি, যেটি গত ৫৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘতম
সময়।
আশিংক চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ অনেকটা লাল আকার ধারণ করবে।
তবে প্রায় পূর্ণ-চন্দ্রগ্রহণ চলবে তিনঘণ্টা আটাশ মিনিট তেইশ
সেকেন্ড পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দুপুর ১টা ১৯ মিনিটে মূল চন্দ্রগ্রহণ শুরু
হবে।
এবারের চন্দ্রগ্রহণ সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হবে উত্তর আমেরিকা থেকে।
এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়া থেকেও কিছুটা দেখা যাবে এ
চন্দ্রগ্রহণ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আকাশ
পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশে চন্দ্রোদয়ের পর থেকে গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত আংশিক
দেখা যাবে।
সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে দেখা যাবে বিকেল ৫টা ১৩মিনিট ৪২ সেকেন্ড থেকে
ছয়টা পাঁচ মিনিট ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত।
https://www.bbc.com/bengali/news-59342337
চাঁদ এবং পৃথিবী
নিজ নিজ কক্ষপথে চলার সময় সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ যখন একই সরলরেখায় আসে এবং সূর্য ও
চাঁদের মাঝখানে পৃথিবীর অবস্থান হয় তখন পৃথিবীর ছায়া গিয়ে পড়ে চাঁদের ওপর। পৃথিবী
থেকে দেখলে কিছু সময়ের জন্য আংশিক অদৃশ্য হয়ে যায় চাঁদ। এই ঘটনাকেই চন্দ্রগ্রহণ বলা
হয়।
আরো তথ্য:
জেনে রাখা
ভাল :
চন্দ্রগ্রহণ
ও সূর্যগ্রহণ এর মধ্যে পার্থক্য:
১. পৃথিবী
ও চন্দ্রের মাঝে যখন সূর্য আসে তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়।
একইভাবে পৃথিবী
ও সূর্যের মাঝে চন্দ্র আসলে সূর্যগ্রহণ হয়।
২. যখন সূর্যগ্রহণ
হয় তখন যেটি ঘটে তা হলো, সূর্যকে যা আড়াল করে দেয় সেটি হল চাঁদ। চন্দ্রগ্রহণ হল ঠিক
এর বিপরীত অবস্থা।
৩. সূর্যগ্রহণ
হয় অমাবত্সায় বা চান্দ্রমাসের শেষ দিন । চন্দ্রগ্রহণ হয় পূর্ণিমায় বা চান্দ্রমাসের
১৪ বা ১৫ তারিখে ।
৪. সূর্যগ্রহণ
দিনের বেলায় টেলিস্কোপে সানফিল্টার লাগিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হয় ।
অপর দিকে চন্দ্রগ্রহণ
রাতের বেলা খালি চোখে দেখা যায় ।
কিভাবে চন্দ্রগ্রহণ
দেখবেন?
সূর্যগ্রহণের
মতো চন্দ্রগ্রহণ দেখতে কোনও আলাদা সতর্কতার প্রয়োজন নেই। খালি চোখেই এই গ্রহণ দেখা
যেতে পারে। তাতে চোখের ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই। তবে টেলিস্কোপের সাহায্যে এই গ্রহণ
দেখলে নিঃসন্দেহে গ্রহণের সৌন্দর্য আরও তীব্র ভাবে ধরা পড়বে।
https://www.bau.ac/2020/07/blog-post.html
0 comments: