Saturday, November 14, 2020

আজারবাইজানের নতুন মানচিত্র

তুরস্ক এখন ভূমধ্য সাগর, কৃষ্ণসাগর এবং কাস্পিয়ান সাগর পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করবে এবং মধ্য এশিয়ার সব তুর্কি ভাষী দেশগুলো নিয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলোর এক জোট তৈরী করার দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। কারণঃ
১. রাশিয়ার উদ্যোগে করা চুক্তি অনুযায়ী আর্মনিয়া আজারবাইজানের কাছে পরাজয় স্বীকার করে আজারবাইজানের ২ টা এলাকা রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করে বাকী সব এলাকা আজারবাইজানকে হস্তান্তর করার পাশাপাশি আর্মেনিয়া দ্বারা বিচ্ছিন্ন আজারবাইজানের দুই অংশকে এক করার জন্য ইরান সীমান্ত সংলগ্ন ২৪ মাইল লম্বা এলাকায় রাস্তা করার জন্য কিছু এলাকা ছেড়ে দিবে। এর ফলে তুরস্ক সরাসরি আজারবাইজান হয়ে কাস্পিয়ান সাগরে যেতে পারবে। ২. এই চুক্তির ফলে ইরান হতে আর্মেনিয়া কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে ও আর্মেনিয়া চরম বৈরী দেশগুলোর মধ্যে অবস্হান করবে। ৩. রাশিয়া আজারবাইজানের দুইটা অংশ আজারবাইজান হতে অদুর ভবিষ্যতে আর্মনিয়াকে সান্তনা হিসেবে প্রদান করতে পারে। কারণ এই দুই এলাকা পার্বত্য কারাবাখের খৃস্টান এলাকা। এব্যাপারে তুরস্ক ও আজারবাইজানও আপত্তি করবে না। কারণ এর বিনিময়ে আজারবাইজানের দুই অংশকে এক করার জন্য রাস্তার করতে আর্মেনিয়া ইরান সংলগ্ন তার স্হান ছেড়ে দিবে চুক্তির ৯ নং দফা অনুযায়ী অদুর ভবিষ্যতে। উপসংহারঃ যুগে যুগে যুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানচিত্র বদল হয় এবং দেশ প্রভাবশালী হয়। এর প্রমাণ তুরস্ক ও আজারবাইজান। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিসমার্কের মতে, যে দেশের শত্রু বেশি তার সম্মানও বেশি। যেমনঃ তুরস্ক। তার শত্রু সৌদি আরবসহ বড় বড় মুসলিম দেশ, তেমনি ফ্রান্স ও গ্রীসের মতে অমুসলিম দেশও তুরস্কের শত্রু। কিন্তু তারপরও তুরস্ক ও তুরস্কের সুলতান এরদুগানের সুনাম, সুখ্যাতি ও সম্মান। শত্রুদের অনেকেই তাদের শ্রদ্ধার সাথে সমীহ করে। বীরভোগ্য বসুন্ধরা।

শেয়ার করুন

0 comments: