Monday, November 30, 2020

বই রিভিউ লেখার কিছু টিপস

বইয়ের রিভিউ লিখার বাস্তবে কোনো ব্যাকরণ নাই। তবে ভালো রিভিউ লিখতে হলে আমাদের অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে রিভিউ লিখার মাধ্যমে আমরা যদি একটা বইয়ের সারসংক্ষেপ স্মার্টলি দক্ষতার সাথে তুলে ধরতে চাই এবং যথাসম্ভব বেশিসংখ্যক পাঠকের মানসপটে সেই বই সম্পর্কে নিখুঁত চিত্র আঁকতে চাই, তাহলে আমাদের কিছু সূত্র তো মেনে চলতেই হবে।
এখানে কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো... প্রথমত, কোনো বই রিভিউ করতে হলে যথেষ্ঠ মনোযোগের সাথে পড়তে (অধ্যয়ন) হবে। প্রয়োজনীয় নোট করতে হবে পড়ার সময়ই। দ্বিতীয়ত, নিজের স্টাইলে বইকে না বুঝে, লেখকের স্টাইলে বুঝতে হবে। লেখকের ইন্টেনশন ধরার চেষ্টা করতে হবে। তৃতীয়ত, বই পড়ার সময় নির্মোহ থাকা। বই, বইয়ের লেখক এবং প্রকাশনী সংস্থার ব্যাপারে প্রিডিটার্মাইন্ড ভালো লাগা, খারাপ লাগা থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকতে হবে। চতুর্থত, নির্ধারণ করে নিতে হবে রিভিউ লিখবেন কাদের জন্য! সাধারণ পাঠকদের জন্য, ক্রেতাদের জন্য, বইয়ের তথ্য শেয়ার করার জন্য নাকি বই সম্পর্কে আগ্রহী করার জন্য। সেই আলোকে নোট নেওয়া দরকার। এরপর বই থেকে নির্দিষ্ট কোনো লাইন কোড করে অথবা বই সম্পর্কে দুটো দারুণ লাইন লিখে রিভিউ শুরু হতে পারে। যেন পাঠক রিভিউ পড়তে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এখন লিখুন মূল রিভিউ। মূল রিভিউয়ে যা খেয়াল রাখতে হবে : ০১. বইয়ের সংক্ষিপ্তসার, অনধিক ২৫০ শব্দ ০২. বই সম্পর্কে নিজের মন্তব্য ০৩. বইয়ের ভালো দিক/ খারাপ দিক ০৪. কেন বইটি অন্যদের পড়া উচিৎ ০৫. লেখক, অনুবাদকের পরিচিতি ও কর্মযজ্ঞ আরও খেয়াল রাখুন : • লেখক যা লিখেছেন, তা রিভিউ করুন। লেখক অথবা বই থেকে যা আপনি প্রত্যাশা করেছিলেন তার রিভিউ লিখবেন না • ঠিক ততটুকুই লিখুন যতটুকু লেখক কভার করেছেন। ইলাস্টিকের মতো টেনে বড় করবেন না • লেখক ও বইয়ের মূল ফোকাসটা ধরুন • কোনো বিদ্বেষ, ঈর্ষা, হিংসার জায়গাটা ভুলে যান • লেখক, অনুবাদক ও প্রকাশনীর প্রতি মোহ ও ভালোবাসার টানে অহেতুক প্রশংসা পরিহার করুন ইম্প্যাক্ট : রিভিউকৃত বই কী ধরণের ইম্প্যাক্ট তৈরি করছে, কারা এই বই দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে, ইম্প্যাক্টে কারা বেনিফিসিয়ারি হচ্ছে তা খুবই কম শব্দে লিখুন। রেটিং : শেষের দিকে বই সম্পর্কে একটা রেটিং দিন।

শেয়ার করুন

0 comments: