Monday, November 30, 2020

বর্ষায় বেলাই বিল রূপ-সৌন্দর্য্য

বর্ষায় বেলাই বিল রূপ-সৌন্দর্য্য

ঢাকা কাছে উন্নত ভূমির যেসব বিল রয়েছে তন্মধ্যে বেলাই বিল রূপ-সৌন্দর্য্যে অনন্য। নিজস্ব গাড়িতে টঙ্গী-পুবাইল হয়ে কানাইয়া যেতে সময় কম লাগবে
৪০০ বছর পূর্বেও বেলাই বিলে কোন গ্রামের অস্তিত্ব ছিল না। খরস্রোতা চেলাই নদীর কারণে বিলটিও খরস্রোতা স্রোতস্বিনীরূপে বিরাজমান ছিল। কিংবদন্তি আছে, ভাওয়ালের ঐ সময়ের ভূস্বামী ঘটেশ্বর ঘোষ ৮০টি খাল কেটে চেলাই নদীর জল নিঃশেষ করে ফেলেন। তারপরই এটি প্রকাণ্ড বিলে পরিণত হয়। বিশাল এই বিলটির কোনো কোনো স্থানে প্রায় সারাবছরই পানি থাকে, তবে বর্ষায় এর রূপ বেড়ে যায় অনেকাংশে। বর্ষা মৌসুমে জেলেরা বিলে চারপাশে ডাঙ্গি খনন করে। এখানে ধরা হয় মাছ। আর শুষ্ক মৌসুমে বিলটি হয়ে উঠে একফসলী জমিরূপে। তখন বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়। বর্তমানে বিলটির আয়তন আট বর্গমাইল এলাকায় বিস্তৃত হলেও পূর্বে আরও বড় ছিল। বাড়িয়া, ব্রাহ্মণগাঁও, বক্তারপুর ও বামচিনি মৌজার গ্রামগুলোকে ঘিরে রেখেছে এই বিল। পড়ন্ত বেলায় কানাইয়া বাজারের কাছে তৈরি হওয়া নতুন সেঁতুর ওপর দাঁড়িয়ে এর সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়। শাপলা-শালুকে ভরা বেলাই বিল। সাদা ও নীল শাপলার ছড়াছড়ি। নারীদের শস্য ঝাড়াইয়ের দৃশ্যও চোখে পড়বে। বিলে বুকে স্বচ্ছ টলটলে পানি। এখানকার গ্রামের মাটি লাল। লাল মাটিতে লাউ খুব ভালো জন্মায়। আর রয়েছে সারি সারি তালগাছ যা নৌকায় বসেদূরের তালগাছ দেখতে বেশ সুন্দর দেখায়। ইঞ্জিনচালিত ও ডিঙি নৌকার দুটোই পাওয়া যায়। তবে ইঞ্জিনের শব্দের চেয়ে শব্দবিহীন ডিঙি নৌকাই উত্তম। বিলের চারপাশে দ্বীপের মতো গ্রাম। বামচিনি মৌজা বেলাই বিলের তেমনি একটি দ্বীপগ্রাম। এর বিশ্বেষত্ব হচ্ছে এক মৌজায় এক বাড়ি যা অন্য কোথাও আছে কি-না সন্দেহ!
কিভাবে বই বিবরণী লিখতে হয়?

কিভাবে বই বিবরণী লিখতে হয়?

বই সমালোচনা বা বুক রিভিউ করার চাইতে বই বিবরণী লেখার কাজটি তুলনামূলকভাবে একটু সহজ। গ্রন্থালোচনায় আলোচক তার বিশ্লেষণী চিন্তা সামর্থ প্রয়োগ করেন; কিন্তু বই বিবরণীতে আলোচককে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে চিন্তা করতে হয়। বইয়ের ধরণ বা বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে বই বিবরণী বিভিন্নরকম হতে পারে।
বই বিবরণীর শুরুতে গ্রন্থালোচনার মতো বইয়ের শিরোনাম, লেখকের নাম, বইয়ের ধরণ, প্রধান আলোচ্য বিষয়ের সারমর্ম, প্রধান চরিত্র বা চরিত্রগুলোর বর্ণনা, ISBN ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। সাহিত্যের বই বিবরণী লিখতে গিয়ে অনেকে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে পারে। কারণ কোন ধরনের মানদণ্ড প্রয়োগ করতে হবে তা অনেক সময় বুঝতে পারে না। কিন্তু গল্পের উপাদানসমূহ যেমন চরিত্র, কাহিনীবিন্যাস, সমস্যা ও তার সমাধান ইত্যাদির প্রেক্ষিতে কাজটা ততোটা জটিল নয়। কাহিনী, চরিত্রের পরিবর্তন ইত্যাদির প্রবহমানতাকে ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করতে পারলে সাহিত্য অর্থাৎ গল্প, কবিতা, উপন্যাস, নাটক ইত্যাদি জাতীয় বইয়ের বিবরণী লেখা সহজ মনে হবে। কিন্তু তথ্যমূলক মূল্যায়নের জন্য প্রথমে অনেকগুলো প্রশ্ন করতে হবে। যেমন: • লেখকের উদ্দেশ্য কী? • লেখক কি তার উদ্দেশ্য পূরণে সফল? • প্রধান চরিত্র কী করেছে, সে কি কোনো শিক্ষা গ্রহণ করেছে; তার কোনো আচরণগত বা মানসিক পরিবর্তন কি হয়েছে? • প্রধান চরিত্রের আচরণ ও মানসিক অবস্থা কি বাস্তবসম্মত? • অন্যান্য চরিত্রগুলো কি জটিল? • চরিত্রগুলোর জটিলতা কি বিশ্বাসযোগ্য? • লেখকের কোনো মানসিক বৈশিষ্ট্য কি প্রধান চরিত্র বা অন্য কোনো চরিত্রের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে? • মানবীয় চরিত্রের কোনো বৈশিষ্ট্য কি প্রধান বা অন্য কোনো চরিত্রের মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে? • প্রধান চরিত্রের সাথে কাহিনীর সজ্জাভঙ্গি কি ঠিক আছে? • চরিত্র এবং উপকাহিনীগুলোর এগিয়ে চলাকে মূল গল্পকাঠামো কীভাবে প্রভাবিত করেছে? বই সম্পর্কে বিবরণী লিখতে গিয়ে কেউ কেউ একটা সাধারণ ভুল করে ফেলে। সেটা হল লেখককে ভুলে যাওয়া। লেখক নিজের ইচ্ছা, প্রবণতা, ভাষা, কাহিনীবিন্যাস, চরিত্রের উন্নয়ন ইত্যাদির প্রকাশ বিভিন্নভাবে করে থাকেন। সাধারণত আত্মজীবনী না হলে লেখক নিজে গ্রন্থমধ্যে অনুপস্থিত থেকে যান। কিন্তু সেখানেও তিনি বিভিন্নভাবে নিজের কিছু কিছু চিহ্ন রেখে দেন। আপাতবিরোধী এটাই যে লেখক সম্পর্কে আপনার অনুধাবন নির্ভর করবে গল্প থেকে নিজেকে কতটুকু বিমুক্ত করতে পারলেন তার উপর। মনে করুন আপনি একটি বিশাল আয়তনের চিত্রশিল্পের মাত্র কয়েক ইঞ্চি দূরে দাঁড়িয়ে আছেন। আপনার দৃষ্টি শুধুমাত্র রঙের বিন্দু দেখবে। মূল ছবি বুঝতে পারবেন না। যখন আপনি এক পা দুই পা করে পিছিয়ে যেতে থাকবেন, তখন ছবির অবয়ব ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হবে। একইভাবে কাহিনী থেকে যখন নিজেকে বিমুক্ত করবেন তখনই লেখকের উদ্দেশ্য, ভাবনা এবং প্রবণতা উপলব্ধি করতে পারবেন। লেখকের উদ্দেশ্যঃ কেউ কোনো উদ্দেশ্য ছাড়া লেখার ঝামেলায় যাবে না। ক্লাশের পাঠ্যবই লেখার যেমন উদ্দেশ্য আছে, ঠিক তেমন কল্পকাহিনী এমন কি রূপকথা লেখারও উদ্দেশ্য আছে। বই বিবরণীতে লেখকের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আপনার মূল্যায়নও লিপিবদ্ধ থাকতে হবে। লেখকের উদ্দেশ্যকে চিহ্নিত করতে এই জাতীয় প্রশ্ন করতে পারেন। • লেখকের লক্ষ্য আমাকে তথ্য নাকি শুধু আনন্দ দেয়া? • আমি কি কিছু শিখলাম? • আমি কি বিনোদিত হয়েছি? • আমি কি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি? • যদি আমি বইটি পাঠে আগ্রহ হারাই তাহলে কি অন্যশ্রেণীর পাঠকের জন্য এটা লিখিত? • লেখক কি আমাকে কোনো নির্দিষ্ট পথে চিন্তা করতে প্ররোচিত করছেন? • কোন বিষয়ে প্ররোচিত করছেন? • লেখক কোন পদ্ধতিতে আমাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন? • আমি কি প্রভাবিত হয়েছি? লেখকের মতামতঃ বইয়ের ভূমিকাতেই লেখকের অভিপ্রায় বা ধারণা বা ভাবনা লিখিত থাকতে পারে; অথবা সেগুলো বর্ণনাকারীর বাক্য বা প্রধান চরিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। লেখকের ভাবনা বা মনোভঙ্গি বুঝতে হলে নিচের প্রশ্নগুলো করার চেষ্টা করুন: • বইয়ের প্রধান সমস্যা কী? • এটা কী ব্যক্তিগত, সামাজিক অথবা নৈতিক সমস্যা? • জীবন সম্পর্কে আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে এই সমস্যার কতটা মিল আছে? • জীবন ও সমাজ সম্পর্কে লেখক কী ধরনের চিন্তা ধারণ করেন? • প্রধান চরিত্র বা চরিত্রগুলো কোন ধরনের শিক্ষা লাভ করেছে? • সেগুলো কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে? • সাধারণ মানুষ, সমাজ, নৈতিকতা বিষয়ে সেই শিক্ষার বক্তব্য কীরূপ? লেখকের মনোভাবঃ লেখক যে ভাবনাগুলো প্রকাশ করতে চাচ্ছেন, তা যখন ধরতে পারবেন তখন এর পাশাপাশি সেই ভাবনাগুলো নিয়ে লেখক কী মনোভাব পোষন করেন তাও আপনাকে বুঝতে হবে। সম্পূর্ণ কাজের মেজাজ, ভঙ্গি থেকে এটা উপলব্ধি করা যায়। আমরা প্রয়োজনবোধে বিশেষণ ব্যবহার করে লেখকের ভাবনার সুরকে বর্ণনা করতে পারি। সোজাসুজি, জটিল, বেদনাদায়ক, তিক্ত, হাস্যরসাত্মক, বিয়োগান্তক, বিদ্রুপাত্মক, রোমাঞ্চকর- এই জাতীয় শব্দ ব্যবহার করলে বর্ণনা অনেকাংশেই স্পষ্ট হয়ে উঠবে। আলোচ্য গ্রন্থটিতে লেখকের মনোভাব বা ভাবনার সুর স্পষ্টভাবে প্রকাশ করার আগে নিজেকে কয়েকটা প্রশ্ন করুন। • আপনার মনে আকর্ষণীয় লেগেছে এমন কোন বিশেষ পদ্ধতিতে কি বইয়ের কাহিনী সাজানো হয়েছে? • কোন বিশেষ দৃশ্য কি আছে, যা আপনাকে মনোযোগী করেছে? • সেই দৃশ্যের প্রভাব কেমন? তা কি সমস্ত বইতে ছড়িয়ে রয়েছে? • লেখক কি আশাবাদী না নিরাশাবাদী; নাকী বাস্তববাদী? লেখক তার এই মানসিক অবস্থা কীভাবে প্রকাশ করেছেন? • প্রধান চরিত্রের মধ্যে কোনো একটি বিশেষ মানসিক অবস্থা বা আবেগ প্রাধান্য পেয়েছে কী? আপনি এর নাম কী দিবেন? এটা কি রচনার প্রতিনিধিত্ব করে? • লেখকের কল্পনাবৈশিষ্ট্যকে বুঝতে রচনার মেজাজ আপনাকে সাহায্য করছে নাকি বাঁধা দিচ্ছে। উপসংহারে বলা যায় আসলে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে লেখক সম্পর্কে একটি বুদ্ধিদীপ্ত মতামতে উপস্থিত হওয়া। কারণ একটি বইয়ের মূল্যায়নকার্য লেখক তাঁর কাজ কত ভালোভাবে করতে পেরেছেন তার মূল্যায়ন করবে। আপনার কাছে কতটুকু ভাল লেগেছে শুধুমাত্র তা বলবে না।
বই রিভিউ লেখার কিছু টিপস

বই রিভিউ লেখার কিছু টিপস

বইয়ের রিভিউ লিখার বাস্তবে কোনো ব্যাকরণ নাই। তবে ভালো রিভিউ লিখতে হলে আমাদের অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে রিভিউ লিখার মাধ্যমে আমরা যদি একটা বইয়ের সারসংক্ষেপ স্মার্টলি দক্ষতার সাথে তুলে ধরতে চাই এবং যথাসম্ভব বেশিসংখ্যক পাঠকের মানসপটে সেই বই সম্পর্কে নিখুঁত চিত্র আঁকতে চাই, তাহলে আমাদের কিছু সূত্র তো মেনে চলতেই হবে।
এখানে কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো... প্রথমত, কোনো বই রিভিউ করতে হলে যথেষ্ঠ মনোযোগের সাথে পড়তে (অধ্যয়ন) হবে। প্রয়োজনীয় নোট করতে হবে পড়ার সময়ই। দ্বিতীয়ত, নিজের স্টাইলে বইকে না বুঝে, লেখকের স্টাইলে বুঝতে হবে। লেখকের ইন্টেনশন ধরার চেষ্টা করতে হবে। তৃতীয়ত, বই পড়ার সময় নির্মোহ থাকা। বই, বইয়ের লেখক এবং প্রকাশনী সংস্থার ব্যাপারে প্রিডিটার্মাইন্ড ভালো লাগা, খারাপ লাগা থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকতে হবে। চতুর্থত, নির্ধারণ করে নিতে হবে রিভিউ লিখবেন কাদের জন্য! সাধারণ পাঠকদের জন্য, ক্রেতাদের জন্য, বইয়ের তথ্য শেয়ার করার জন্য নাকি বই সম্পর্কে আগ্রহী করার জন্য। সেই আলোকে নোট নেওয়া দরকার। এরপর বই থেকে নির্দিষ্ট কোনো লাইন কোড করে অথবা বই সম্পর্কে দুটো দারুণ লাইন লিখে রিভিউ শুরু হতে পারে। যেন পাঠক রিভিউ পড়তে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এখন লিখুন মূল রিভিউ। মূল রিভিউয়ে যা খেয়াল রাখতে হবে : ০১. বইয়ের সংক্ষিপ্তসার, অনধিক ২৫০ শব্দ ০২. বই সম্পর্কে নিজের মন্তব্য ০৩. বইয়ের ভালো দিক/ খারাপ দিক ০৪. কেন বইটি অন্যদের পড়া উচিৎ ০৫. লেখক, অনুবাদকের পরিচিতি ও কর্মযজ্ঞ আরও খেয়াল রাখুন : • লেখক যা লিখেছেন, তা রিভিউ করুন। লেখক অথবা বই থেকে যা আপনি প্রত্যাশা করেছিলেন তার রিভিউ লিখবেন না • ঠিক ততটুকুই লিখুন যতটুকু লেখক কভার করেছেন। ইলাস্টিকের মতো টেনে বড় করবেন না • লেখক ও বইয়ের মূল ফোকাসটা ধরুন • কোনো বিদ্বেষ, ঈর্ষা, হিংসার জায়গাটা ভুলে যান • লেখক, অনুবাদক ও প্রকাশনীর প্রতি মোহ ও ভালোবাসার টানে অহেতুক প্রশংসা পরিহার করুন ইম্প্যাক্ট : রিভিউকৃত বই কী ধরণের ইম্প্যাক্ট তৈরি করছে, কারা এই বই দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে, ইম্প্যাক্টে কারা বেনিফিসিয়ারি হচ্ছে তা খুবই কম শব্দে লিখুন। রেটিং : শেষের দিকে বই সম্পর্কে একটা রেটিং দিন।
ভাল লেখক হতে হলে আপনাকে যে সাতটি টিপস মানতে হবে

ভাল লেখক হতে হলে আপনাকে যে সাতটি টিপস মানতে হবে

আপনি যদি একজন ভাল লেখক হতে চান, তাহলে আপনাকে কিছু নির্দেশনা মানতেই হবে। ১. উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে শুরু করুন আপনি যে বিষয়ে যুক্তি দিতে চান বা যে বিষয়টি নিয়ে গল্পটি বলতে চান তার মোদ্দা কথাটি আপাতত ভুলে যান। শুরু করুন কোন একটি বর্ণনা বা উদাহরণ দিয়ে যা পাঠককে আপনার লেখা পড়তে সঠিক মেজাজটি এনে দেবে। "অনেক বছর পর, যখন তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডের মুখে পড়তে হলো...." এভাবে নিজের বিখ্যাত রচনা 'ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস অব সলিটিউড' বা 'নিঃসঙ্গতার একশ বছর' শুরু করেছিলেন লেখক গ্র্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ।
২. বাক্য সংক্ষিপ্ত রাখুন লেখাকে ছোট এবং মধুর করুন। এটা কাজে দেয় সংক্ষিপ্ত বাক্যে লিখলে তা আসলে পাঠকের মেধাকে ছোট করা বোঝায় না। তবে এটা করাটা অতটা সোজাও নয়। কিন্তু এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা কোন স্টাইল নয়, কিন্তু মানুষের জৈবিক বৈশিষ্ট্য মাত্র: কারণ এভাবেই আমাদের মস্তিষ্ক কাজ করে। দীর্ঘ একটি বাক্য, বিশেষ করে যেসব বাক্যে একাধিক অধীনস্থ বাক্যাংশ থাকে, সে ধরণের বাক্য বুঝতে হলে পাঠককে ব্যাকরণের পাশাপাশি মূল বিষয়টিকে মাথায় একসাথে রাখতে হয়। যা অনেক বেশি কঠিন এবং পাঠককে আপনার লেখার ব্যাকরণ নিয়ে ব্যস্ত রাখারও কোন মানে হয় না। এর চেয়ে বরং লেখার মূল আধেয় বা বিষয় বস্তুর উপরই গুরুত্ব দেয়া উচিত। ৩. একই সাথে, বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের বাক্যও লিখতে হবে ভাল লেখার আলাদা ছন্দ থাকে আপনি হয়তো শুনে থাকবেন: "সব কিছুরই পরিমিতি বোধ থাকা উচিত, এমনকি পরিমিতিরও পরিমিতি বোধ থাকা জরুরী।" যেখানে ছোট ছোট বাক্যে লেখাটাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা উচিত, তবে সব বাক্যই যদি ছোট লেখা হয় এবং আর কোন ধরণের বাক্য যদি না থাকে তাহলে তা আপনার লেখায় এক ধরণের কাটা কাটা ভাব অর্থাৎ রসহীন করে তুলবে। এক ধরণের র্যাট-টাট-টাট অনুভূতি দিবে পাঠককে যা হয়তো আপনি বাস্তবে দিতে চাননি এবং এটা পাঠকের জন্য বিরক্তির কারণও হতে পারে। তাই সব ধরণের বাক্যই লিখতে হবে। ৪. সঠিক শব্দ ব্যবহার করুন সঠিক শব্দের ব্যবহার পাঠককে দেখা, গন্ধ নেয়া, স্বাদ নেয়া কিংবা পায়ের আঙুল দিয়ে স্পর্শ করার মতো অনুভূতি দেয়। এটা পাঠককে এমন কিছু দেয় যা দিয়ে তারা তাদের মনের চোখ দিয়ে এক ধরণের ছবি আঁকে। এই ছবি এবং শব্দ মিলে, আপনার বার্তাকে স্মরণীয় এবং আকর্ষণীয় করে তুলবে পাঠকের কাছে। ৫. বিমূর্ত শব্দ এড়িয়ে চলুন লেখার সময় শব্দ চয়নের দিকে খেয়াল রাখুন। এটি আপনার লেখাকে ক্লাসিক করে তুলতে পারে। ....বিশেষ করে এগুলোকে মাঝে মাঝে বলা হয়ে থাকে "মনোনীত করণ" বা আরো ভাল ভাবে বললে- "জম্বি নাউন বা ভৌতিক বিশেষ্য" বলা যায়। এগুলো অনেক বেশি প্রাণহীন শব্দ যেমন "ঘটনা", "ফেনোমেনা", "স্তর" বা "পর্যবেক্ষণ"। ফেনোমেনা শুনতে আসলে কেমন শোনায়? পর্যবেক্ষণকে কিভাবে অনুভব করা যায়? প্রাতিষ্ঠানিক, আমলাতান্ত্রিক এবং অন্যান্য প্রাচীন লেখার ধরণে এমন শব্দের প্রাচুর্য থাকে। এর পরিবর্তে স্পষ্টভাবে কল্পনা করা যায় এবং নির্দিষ্টভাবে বিষয় বস্তুকে তুলে ধরে এমন শব্দ বাছাই করা উচিত। ৬. নিজের লেখাটি জোরে জোরে পড়ুন যা লিখছেন তা পড়ুন- সম্ভব হলে কাউকে পড়ে শোনান শুধু নিজে নিজে লেখা, পুনরায় লেখা এবং সম্পাদনাই যথেষ্ট নয়, বরং জোরে জোরে পড়ুন। যখন আপনি পড়বেন তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে, লেখার সময় আসলে আপনি কোন ধরণের শব্দটি ভুলে গেছেন বা মিস করেছেন। যদি এটা বলতে কষ্ট হয়, তাহলে এটা পড়তেও কষ্ট হবে। এছাড়া কোথায় ছন্দপতন হয়েছে সেটিও আপনি সহজেই ধরে ফেলতে পারবেন। লেখার দিকে খেয়াল রাখুন, হয়তো আরো কিছু পাঠক জুটে যেতে পারে ৭. দৃঢ় ভাবে শেষ করুন শেষের জন্য আপনার জানা সবচেয়ে শক্তিশালী শব্দ বা বাক্য গুচ্ছ ব্যবহার করুন। আপনি কি ধরণের শব্দ বাছাই করছেন সেদিকে খেয়াল রাখুন। এমনকি শক্তিশালী, বা জোর রয়েছে এমন সিলেবল দিয়ে শেষ করার চেষ্টা করুন। শেষের শব্দগুলোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের কথা শুনে বিশ্বাস না করলেও আইরিন নেমিরভস্কির কথা তো নিশ্চয়ই এড়িয়ে যেতে পারবেন না।
লেখক হওয়ার একুশ উপায়

লেখক হওয়ার একুশ উপায়

১. টিভি বন্ধ করে বই নিয়ে বসো। সৃজনশীলতার জন্য টিভি হলো বিষস্বরূপ। টিভি দেখা সময়ের অপচয়। বই পড়ায় ব্যয় করতে হবে বেশি সময়। ব্যাপকভাবে বিস্তৃত বিষয়ে পড়তে হবে, সময় পেলেই পড়তে হবে। বই হবে সর্ব সময়ের সঙ্গী। 

২. সমালোচনা ও ব্যর্থতার জন্য প্রস্তুত থাকো। লিখলে লোকজন তা পাঠ করবে এবং কেউ কেউ সমালোচনা করবে। আবার কখনো কখনো লেখা ছাপা হবে না বা কেউ পড়বে না। কিন্তু এসবের জন্য দমে গেলে চলবে না। 

৩. অন্যকে সন্তুষ্ট করার জন্য নয়; বরং নিজের দায়িত্ববোধ থেকে লেখো। সত্য বলতে হবে, তা যত তিক্তই হোক। নিজের বিবেক ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাও।
৪. প্রাথমিকভাবে নিজের জন্য লেখো। লেখাটাকে আনন্দের বিষয় করে নিতে হবে। যা ভালো লাগে, তা-ই নিয়ে লেখো। নিজের ওপর কোনো জিনিস জোর করে চাপিয়ে দেবে না যা থেকে বিরক্তি উৎপন্ন হয়। 


৫. কঠিন সমস্যা নিয়ে চিন্তা করো, আড়ালে থাকা বিষয়কে তুলে আনো। জীবন ও সমাজের কোনো জটিল সমস্যার ওপর আলোকপাত করে, যা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। 

৬. লেখার সময় সমস্ত জগৎ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করো। যখন লিখতে বসবে, তখন লেখা ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেবে না। জাগতিক ঝুটঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে একাগ্রচিত্তে লিখতে হবে।
 
৭. পাণ্ডিত্যের ভান করবে না। অযথা গুরুগম্ভীর শব্দ ও জটিল বাক্য ব্যবহার করে অন্যকে চমকিত করার চেষ্টা কোনো কাজের বিষয় নয়। অকারণে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বলার অভ্যাস পরিহার করো। 

৮. ক্রিয়াবিশেষণ (যেমন অত্যন্ত অসাধারণভাবে ) কম ব্যবহার করবে এবং অনুচ্ছেদ ছোট রাখবে। অধিক ক্রিয়াবিশেষণ ভ্রান্তি এবং লম্বা অনুচ্ছেদ চোখের জন্য ক্লান্তিকর। 

৯. গল্প লেখার সময় কাহিনির দিকে নজর দেবে, ব্যাকরণের দিকে নয়। কাহিনিকে মনোগ্রাহী ও রসমণ্ডিত করার জন্য যে রকম শব্দ যেভাবে ব্যবহার করা প্রয়োজন ঠিক তা-ই করতে হবে। 

১০. শৈল্পিক বর্ণনার কৌশল রপ্ত করো। সঠিক শব্দ ও বাক্যে স্পষ্ট ও উজ্জ্বলভাবে বিষয় ও ঘটনার বিবরণ দিতে হবে যাতে তা পাঠকের মনে রেখাপাত করে। প্রয়োজনে ভাষিক অলংকারের আশ্রয় নাও। 

১১. গল্পকে বেশি তথ্যবহুল করবে না। গল্পকে তথ্যে ভারী করে ফেললে তা গল্পের মজাকে হরণ করে, পাঠকের মনোরঞ্জনে ব্যর্থ হয়। চরিত্রায়ণ ও ঘটনাবিন্যাস বেশি প্রাধান্য পাবে। 

১২. মানুষজন বাস্তবে কী করে তা নিয়েই গল্প ফাঁদো। বাস্তব থেকে গল্পের উপাদান গ্রহণ করো, তাতে কল্পনার রং লাগাও, আখ্যানকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলো। 

১৩. নতুন বিষয় নিয়ে লেখো। পুরোনো বিষয় নিয়ে চর্বিত চর্বণের কোনো অর্থ হয় না। যা মানুষ কখনো ভাবেনি তা নিয়ে লেখো। ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখো ও লিখো। ঝুঁকি নিতে পিছপা হবে না। 

১৪. লেখক হওয়ার জন্য মাদকের আশ্রয় নেবে না। মাদকে মাথা খোলে—এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং মাদক গ্রহণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়, চিন্তায় পঙ্গুত্ব আসে। 


১৫. অন্য কোনো লেখককে হুবহু অনুকরণ করে লিখবে না। নিজের স্টাইল তৈরি করো। নিজের ধ্যানধারণা থেকে নিজের মতো করে লিখো, স্বকীয়তা নিয়ে। 


১৬. শব্দ ও বাক্যের মাধ্যমে তোমার ধারণাগুলো পাঠকের মনে সঞ্চারিত করো। লেখার সময় কোন ধরনের পাঠকের জন্য লিখছ, তা মাথায় রাখো, আর তোমার ধারণাগুলো তাদের উপযোগী করে প্রকাশ করো। 

১৭. লেখালেখিকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করো। লেখাকে করতে হবে ধ্যানজ্ঞান। একমাত্র সাধনা। দায়সারা কাজ অকাম্য। লেখালেখির বিষয়ে যে যত সিরিয়াস, সে তত সফল। 

১৮. প্রতিদিন কিছু না কিছু লেখো। বই পড়াকে যেমন, তেমনি লেখালেখিকেও নিত্যকার অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। লিখতে লিখতে লেখায় হাত আসে। 

১৯. কোনো কিছু লেখার পর সেটি পুনরায় দেখো। নিজের লেখার প্রথম পাঠক হবে নিজেই। সমালোচকের দৃষ্টি দিয়ে নিজের লেখা ব্যবচ্ছেদ করো। আর এটা করতে হবে নির্দয়ভাবে। 


২০. নিজের শরীর ও মনের যত্ন নাও। শরীর সুস্থ থাকলে এবং মনে সুখ থাকলে লেখালেখি সহজ হয়। পারিবারিক জীবনে শান্তি এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়ক। 


২১. চেষ্টা করো তিন মাসে একটি বইয়ের খসড়া সম্পন্ন করতে। প্রতিদিন ১০ পৃষ্ঠা করে লিখলে, তিন মাসে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার শব্দ হয়ে যায়। তারপর সেটিকে পরিমার্জন করে প্রকাশের উপযোগী করতে আরও কয়েক মাস লেগে যাবে। বুঝতেই পারছ, লেখক হওয়ার জন্য নিষ্ঠা ও অধ্যবসায় কতটা জরুরি! মূল: স্টিফেন কিং

Thursday, November 19, 2020

Wednesday, November 18, 2020

Sunday, November 15, 2020

রূপগঞ্জের কুলাদি বিলের সৌন্দর্য

রূপগঞ্জের কুলাদি বিলের সৌন্দর্য

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজের পাশেই আছে শাপলা ফুলের বিল । বহিরাগতরা ‘শাপলার বিল’ নামে চিনলেও এর মূল নাম শিমুলিয়া কুলাদি বিল। তিন ধরনের শাপলা জন্মে এ বিলে—লাল, সাদা ও বেগুনি রঙের। তবে লাল শাপলাই বেশি। সাধারণত আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিলে শাপলা থাকে। সেপ্টেম্বর মাস বেড়ানোর উত্তম সময় ।
সেখানে বেশ কয়েকটি ছোট নৌকা রয়েছে, চাইলে সেগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পারেন ঘণ্টা চুক্তিতে। উপভোগ করতে পারেন শাপলা ফুলের সৌন্দর্য । অবস্হান : শাপলা বিল - শিমুলিয়া , রুপগঞ্জ,নারায়ণগঞ্জ । কাঞ্চন ব্রিজের নিচ দিয়ে হাতের বাম দিকে পুর্বাচল সেক্টর ৪ এর পর মালুম সিটির কাছে । যাতায়াত : কুরিল বাসস্টপ থেকে কার - ৬০ টাকা জন প্রতি – কাঞ্চন ব্রীজ । অথবা এসি বিআরটিসি বাসে ৯০ টাকা জন প্রতি কাঞ্চন ব্রীজ । তারপর অটো রিক্সা ২০/২৫ টাকা নিবে জনপ্রতি শিমুলিয়া যেতে । বলতে হবে শিমুলিয়া কুলাদি বিল/শাপলা বিল যাবো । তারপর নেমে নৌকা করে বিলে মালুম সিটির পর আদর্শ সিটির পেছন দিকটা বিস্তর লাল শাপলার বিল ঘুরতে হবে । দিক নির্দেশনা : ১.সাঁতার না জানলে ২৫০ টাকা দিয়ে লাইফ জ্যাকেট কিনে সাথে করে নিয়ে যেয়ে নৌকা উঠার আগেই পরে নিতে হবে । ২.সেপ্টেম্বর মাস ঘুরার উত্তম সময় । এই সময় গেলে শাপলা, পদ্ম ও কাশ ফুলও দেখা যাবে । ৩. বিলের আসল সৌন্দর্য দেখতে হলে অবশ্যই সুর্যের কিরন বিলে পরার আগে যেতে হবে ।সকাল ৭ টায় গেলে ফুটন্ত লাল শাপলা দেখা যাবে । ৯ টার লাল শাপলার পাপড়ি নিষ্প্রভ হয়ে যায় । যোগাযোগের ঠিকানা : বিলের পাশেই থাকেন মিয়া বক্স - ০১৭৭৪০০৯৭৫৪ যেতে চাইলে আগে উনার সাথে যোগাযোগ করে নিতে পারেন । গুগল ম্যাপে বিলের সৌন্দর্যতম স্হানের অবস্হান : GPRS - 23.854262, 90.541736
আমি আকাশ দেখি : পর্ব-২

আমি আকাশ দেখি : পর্ব-২

আমি আমার দুরবীন দিয়ে খুব ভালভাবেই এন্ড্রমিডা গ্যালাক্সিকে দেখে থাকি। আমাদের মিল্কিওয়ের প্রতিবেশী গ্যালাক্সির নাম এন্ড্রমিডা। এটিতে মিল্কিওয়ের থেকে বেশী তারা থাকে। (১ লিখে ১২ টা শুন্য দিলে যে সংখ্যা হয় তার সম পরিমান সূর্যের মতো নক্ষত্র নিয়ে একটা গ্যালাক্সি গঠিত হয়। আমরা যে গ্যালাক্সিতে বাস করছি তার নাম মিল্কিওয়ে।) আমার এই দুরবীন দিয়ে সবচেয়ে বেশী ভাল দেখা যায় আমাদের চাঁদ মামাকে। চাঁদ মামা হলেন উপগ্রহ। কারণ গ্রহের চার দিকে যেসব তারা ঘুরে তাদের উপগ্রহ বলা হয়। চাঁদ পৃথিবীর চার দিকে ঘুরে।
চাঁদ মামাকে ইদানিং আমার ভাগ্নে-ভাগ্নি আর ভাইপো তাদের জন্য কেনা দুরবীন দিয়ে দেখে। তাদের বয়স খুবই কম। তারা কোথায় যেনো শুনেছে মানুষ মরে গেলে নাকি মানুষ আকাশের তারা হয়ে যায় আর মৃত মানুষরা নাকি পৃথিবীর লোকদের এভাবেই নাকি দেখে। আর কাজের বুয়ার কাছে শুনেছে,পৃথিবী একটা মহিষের শিংয়ের উপর আছে। পৃথিবী ঘুরতে ঘুরতে যখন এক শিং থেকে আরেক শিংয়ে যায়, তখন ভূমিকম্প হয়। আমার এক ভাই ভূতত্ববিদ। সে খুব সুন্দর ভাবে এসব বিষয় বুঝিয়ে বলে বুয়ার কথা ভুল। তারপরও তারা বলে মামা তোমার কথা ঠিক না। রুপকথার বইয়ের কথাগুলো আর বুয়ার কথাগুলো ঠিক। আমি মনে করি, তারা যখন বড় হবে, তখন তারা নিজেরাই তাদের অনুসন্ধিৎসু মন দিয়ে সব বিচার করবে। আমরা চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা বিজ্ঞানমনস্ক ও অনিসন্ধিসু মন নিয়ে বেড়ে উঠুক। সৃষ্টিকর্তার বিধানও অনিসন্ধিসু মন নিয়ে শিশুরা বেড়ে উঠুক : তারা কি তাদের উপরস্থিত আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করে না আমি কীভাবে তা নির্মাণ করেছি এবং সুশোভিত করেছি? তাতে কোন ছিদ্রও নেই। “(আল কুরআন, সুরা ক্বাফ : ৬) চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ এবং সৌর জগতের পঞ্চম বৃহৎ উপগ্রহ। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চাঁদের কেন্দ্রের গড় দূরত্ব হচ্ছে ৩৮৪,৪০৩ কিলোমিটার (২৩৮,৮৫৭ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় ৩০ গুণ। চাঁদের ব্যাস ৩,৪৭৪ কিলোমিটার (২,১৫৯ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের এক-চতুর্থাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। চাঁদের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের ৫০ ভাগের ১ ভাগ। চাঁদই একমাত্র আকাশের বস্তু যাতে মানুষ ভ্রমণ করেছে। যার মাটিতে মানুষ হেঁটেছে। প্রথম যে বস্তুটি চাঁদের কাছ দিয়ে উড়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল তা হল রাশিয়ার লুনা ১ নামক আকাশ যান। এই ঘটনা ১৯৫৯ সালে ঘটে। তারপর ১৯৬৬ সালে বাশিয়ার লুনা ৯ নামক আকাশ যান প্রথমবারের মত চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে এবং লুনা ১০ আকাশ যান প্রথমবারের মত চাঁদের কক্ষপথ পরিক্রমণ করে। আমেরিকাও রাশিয়ার সাথে পাল্লা দিতে অ্যাপোলো প্রকল্প শুরু করে। আমেরিকা ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ আকাশ যান চাঁদের উদ্দেশ্যে পাঠায়। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মত চাঁদে মানুষ অবতরণ করে। নীল আর্মস্ট্রং, বুজ আলড্রন এবং মাইকেল কলিংস্ অ্যাপোলো-১১ আকাশযানে করে চাঁদে যান। নীল আর্মস্ট্রং এবং বুজ আলড্রন ছিলেন প্রথম মানুষ যারা চাঁদে হেঁটছেন। পরে আরও ১০ জন লোক চাঁদে হেঁটেছেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে ছয়টি আকাশযান চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে। অ্যাপোলো অভিযানের পর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা চাঁদে মানুষ পাঠানোর সকল পরিকল্পনা ত্যাগ করে। ২০০৯ সালে প্রথম দিকে ভারত, যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগীতায় চন্দ্রযান নামে একটি আকাশযান চাঁদে পাঠায়। কিন্তু প্রকল্পটিতে সফল হতে ব্যর্থ হয়। মহাকাশযান চাঁদে পৌঁছার পর পরেই তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু অল্প সময়ে যে তথ্য পাঠিয়েছে তা মানব জাতিকে নতুন করে আশার আলো দেখিয়েছে। কারণ চাঁদে পানির অস্তিত্ব পাওয়ার তথ্য এটি দিয়েছে। এর ফলে মানুষ চাঁদে যেয়ে বাস করার মতো পানি সংগ্রহ করতে পারবে। এই তথ্য মানুষকে চাঁদে বাস করার ক্ষেত্রে আশার আলো দেখিয়েছে। (আমার বিজ্ঞান বিষয়ক এই ধারাবাহিক কলাম অনেকটা রোজনামচার আকারে ডায়েরীর পাতায় লেখেছি। মহাবিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কে বর্তমান সময়ের তথ্য জানার পাশাপাশি কীভাবে মানুষ আকাশকে জয় করেছে এবং আকাশের বিভিন্ন গ্রহে বসবাস করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। আশা করি আমার সাথেই থাকবেন)
জলজ উদ্যান

জলজ উদ্যান

জলজ উদ্যান ( Water garden ) সম্পর্কে আমাদের দেশের লোকদের ধারণা নেই বল্লেই চলে ।
আর জলজ উদ্যান বানানোর উদ্যোগও নেওয়া হয় না । কিন্তু জলজ উদ্যান বাগানের ও বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার পাশাপাশি এর অনেক উপকারীতা আছে । যেমন : ১.জল উদ্যান যে বাড়িতে থাকে সেই বাড়ি গরমের সময় ঠান্ডা থাকে । ২.জল উদ্যানের কিছু অংশ একুরিয়াম হিসেবে ব্যবহার করা যায় । ৩.জল উদ্যানে সীমিত আকারে মাছ চাষ করা যায় । ৪. জল উদ্যান মনে প্রশান্তি আনে । ৫.জল উদ্যান বাড়ির সৌন্দর্য্য অনেক গুণ বাড়িয়ে তোলে । জল উদ্যান বানাতে বেশী জায়গা লাগে না । মাত্র ৪ ফুট দের্ঘ্য ও প্রস্হের ডোবা দিয়েই সুন্দর জল উদ্যান বানানো সম্ভব । দের্ঘ্য ও প্রস্হে ৫০ ফুটেরও কম পুকুর বা ডোবাকে জল উদ্যান ( Water garden ) - এ পরিনত করা যায় । এজন্য পুকুরটার চারপাশে গাছ ও পাথর ব্যবহার করতে হবে । বাংলাদেশের সাদা-লাল-নীল-বেগুনী শাপলা ও মাখনা এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শাপলা জাতীয় উদ্ভিদ আমাজান লিলি দিয়ে পুকুরটাকে সাজাতে হবে ।
বাংলাদেশি উদ্যান

বাংলাদেশি উদ্যান

প্রতিটা জাতির বাগান করার নিজস্ব পদ্ধতি আছে । আমাদের দেশ এক সময় শাসন করতো তুর্কি, মোঘল ও ইরানীরা । তারা তুর্কি , মোগল ও ইরানী বা পার্শি রীতি বাগান করতো । যেমন : লালবাগ কেল্লা গেলে দেখবেন ইরানী পদ্ধতিতে বাগান ।
কুরআনের আয়াতের বিষয়কে কেন্দ্র করে কুরআনিক গার্ডেন হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে । বাংলাদেশিদের বাগান করার নিজস্ব পদ্ধতি নেই - এই কথাটা আমরা ভুল প্রমাণ করবো । বাংলাদেশিদের বাগান করার নিজস্ব পদ্ধতি আছে । আর তাহলো বাংলাদেশি উদ্যান । বাংলাদেশি উদ্যান বা Bangladeshi Garden বিষয়টি আমরা পর্যায়ক্রমে উপস্হাপন করবো । বাংলাদেশি উদ্যানে শুধু মাত্র বাংলাদেশি ফুল-গাছ-লতা-পাতা থাকবে । বর্তমানে এমন উদ্যান নেই । এই উদ্যান আমাদের মূল্যবোধ, আবহাওয়া ও মাটিকে ধারণ করবে । দেশিয় সব ধরনের উদ্ভিদ সুন্দরভাবে যথাযথ অবস্হান অনুযায়ী মনকাড়া অবস্হায় বাংলাদেশি উদ্যানে স্হান পাবে ।
বুড়িচংয়ের ছয়গ্রামে হেমন্তেও সৌন্দর্য বিলাচ্ছে সাদা শাপলা ফুল

বুড়িচংয়ের ছয়গ্রামে হেমন্তেও সৌন্দর্য বিলাচ্ছে সাদা শাপলা ফুল

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ছয়গ্রাম গ্রামে ফুটে আছে জাতীয় ফুল শাপলা। বর্ষা, শরৎ পেরিয়ে হেমন্তেও আপন সৌন্দর্য বিলিয়ে দিচ্ছে এই ফুল। বর্ষার শেষে বাংলাদেশে আনাচে-কানাচে বিলের পানিতে দলবেঁধে ফুটে শাপলা। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে লাল শাপলার ছড়াছড়ি দেখা গেলেও শরৎ হেমন্তে সাদা শাপলাই চোখে পড়ে বেশি।
শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। নদী বাদ দিয়ে বাংলাদেশের প্রায় সব জলাশয়ে শাপলা ফুল ফুটতে দেখা যায়। এ কারণেই সাদা এই ফুল বাংলাদেশের জাতীয় ফুলের মর্যাদা পেয়েছে। বদ্ধ জলের উপর ভেসে থাকে শাপলা ফুল আর তার বড় সবুজ পাতা। বাংলাদেশের মাত্র কয়েক প্রজাতির শাপলা দেখা গেলেও সারাবিশ্বে ৩৫ প্রজাতির শাপলা ফুল রয়েছে। আমাদের দেশে সাদা এবং গোলাপী শাপলাই বেশি দেখা যায়। শাপলা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় সবজিও। বর্ষায় বিল থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে অনেকেই। বাংলাদেশের মুদ্রায়, টাকায় এবং দলিলপত্রে জাতীয় ফুল শাপলার ছবি বা জলছাপ দেখা যায়। শ্রীলংকার জাতীয় ফুলও শাপলা। প্রাচীনকালে গ্রীক জলপরী দেবীর উদ্দেশ্যে এই ফুল উৎসর্গ করা হতো। সেই থেকে এর নামকরণ। খ্রীস্টপূর্ব ২৫০০ বছর পূর্বে মিশরের এক ধ্বংসাবশেষে শাপলা ফুলের মতো একটি ছবি পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় প্রাচীর যুগে মিশরে শাপলা ফুলের চাষ হতো। আজকের কুমিল্লা ডট কম : ডিসেম্বর ৫, ২০১৯

Saturday, November 14, 2020

ভিডিও অ্যাস্ট্রোনমি

ভিডিও অ্যাস্ট্রোনমি

দূরবর্তী চলচিত্রধারণ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক দৃশ্যায়ন হলো এমন এক পক্রিয়া যাতে দূরবর্তী স্হানে টেলিস্কোপ স্হাপন করে বিভিন্নধরণের তার ও যন্ত্রাংশের মাধ্যমে বাসস্হানে বসে আকাশের বস্তুসমূহের চলচিত্র ধারণ করা হয় । এর মাধ্যমে নিন্মোক্ত সুবিধা পাওয়া যায় :
১. বার বার টেলিস্কোপের লেন্সের দিকে চোখ রেখে আকাশ দেখতে হয় না বলে দেহের বাঁকা হয়ে যায় না ও শরীর অবসাদগ্রস্হ হয় না । ২. আকাশের বস্তুসমূহ চলচিত্রায়ন করা হয় বলে আকাশের দৃশ্যসমূহ সরাসরি সম্প্রচার করা যায় বলে অসংখ্য লোক আকাশের বস্তুসমূহ দেখতে পারে । ৩. চলচিত্র সম্পাদনার মাধ্যমে আকাশের বস্তুসমূহের কাঙ্খিত ছবি পাওয়া যায় অনায়াসেই । ৪. ওয়াইফাই সিস্টেম, নেটওয়ার্ক তাঁর, কম্পিটার , এন্ড্রয়েড মোবাইল, ভিডিও ক্যামেরা এবং গো টু মাউন্টের মাধ্যমে দূরবর্তী স্হানে চলচিত্রধারণ করা হয় বলে বিষয়টা প্রযুক্তি জানা লোকদের কাছে সহজলভ্য ও কম পরিশ্রমের বিষয় । সুতরাং আমরা টেলিস্কোপের দিকে চোখে রেখে আকাশ না দেখে ঘরের ভিতর বসে কম্পিউটার বা লেপটপের উপর চোখ রেখে আকাশ দেখবো । বিষয়টাকে সংক্ষেপে ভিডিও অ্যাস্ট্রোনমি বলা হয় ।
সাহিত্যের জন্য নিসর্গ

সাহিত্যের জন্য নিসর্গ

নীরবতা,একাকীত্ব, প্রকৃতি ও নিসর্গ মানুষের মনের দরোজা খুলে দেয় । শহর থেকে দূরে এমন এক নিভৃত নিসর্গের মাঝে, নীল জলরাশি, ঝর্ণা, পাহাড় আর সামুদ্রিক মুক্ত হাওয়ায় নরওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে পাহাড় চূড়ায় একা নির্জন এক কুটিরে বসে বিংশ শতকের সেরা অস্ট্রিয়ার দার্শনিক লুডভিগ ভিটগেনস্টাইন তাঁর দার্শনিক রচনা "ট্র্যাকট্যাটাস লজিকো ফিলোসফিকাস" (1922) শেষ করেন।
এটি লেখা শুরু করেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সেনাছাউনিতে, পরে যুদ্ধবন্দী অবস্থায়। এ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, ক্যামব্রিজে বার্ট্রান্ড রাসেলের ছাত্র এবং বন্ধু ভিটগেনস্টাইন (১৮৮৯--১৯৫১) প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। ভ্যাকেশনে ক্যামব্রিজ থেকে নরওয়েতে তিনি প্রথম আসেন ১৯১৩ সালে।বেড়ানোর জন্য বেছে নেন একটি দুর্গম জনবিরল পার্বত্য গ্রাম জোলডেন।এখানে তিনি একটি ছোট ঘর তৈরি করেন।এখান থেকে তিনি রাসেলকে এক চিঠিতে জানান যে, এখানে থেকেই তিনি লজিক্যল ম্যাথম্যাটিকসের সমাধান পাবেন। দ্বিতীয়বার এখানে আসেন ১৯৩৬-৩৭ সালে। এবার এখানে লিখলেন,"ফিলোসপিক্যাল ইনভেস্টিগেশন"। যা তার মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়। ৬২ বছরের জীবনে তাঁর একটি মাত্র বই ট্র্যাকট্যাটাস প্রকাশিত হয়।এক বই এখনো দার্শনিকদের ঘোরের মধ্যে রেখেছে।এই বইয়ে ভাষা ও বাস্তবতা এবং বিজ্ঞানের সীমা সম্পর্কে লজিক্যাল ভিত্তি তুলে ধরেন। জোলডেনের স্থানীয় লোকেরা পাহাড় চূড়ায় ভিটগেনস্টাইন কুড়ে ঘরটির নাম দিয়েছিল অস্ট্রিয়া হাউস।এই ঘরটি সংস্কার করে ২০১৮ সালে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।এটি এখন দার্শনিকের তীর্থভূমিতে পরিণত হয়েছে। ট্র্যাকট্যাটাস লেখার পরে দার্শনিক শোপেনহাওয়ারের ভাবশিষ্য ভিটগেনস্টাইন ভাবলেন তাঁর অনুসন্ধান শেষ হয়নি,তিনি ভাবাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন, জোলডেনের স্হানীয় লোকেরা বলেছেন, ভিটগেনস্টাইন কখনো কখনো ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় ওই ঘর থেকে বের হতেন না।তার লেখার টেবিল থেকে বহুদূর পর্যন্ত নীল জলের লেক, ঝর্ণা, অাকাশ দেখা যেত।রাত্রিতে তারকা দেখতেন আর অন্ধকার নিস্তব্ধতায় ডুবে থাকতেন। জোলডেনে ভিটগেনস্টাইনের অবস্থান আমাকে তিউনিশিয়ার পলিম্যাথ, সুফি ও কবি আবু সাইদ ইবনে খালিফ ইবনে ইয়াহিয়া আল তামিম আল বাজির কথা স্মরণ করে দেয়, যিনি থাকতেন ভূমধ্যসাগর উপকূলে নির্জন পার্বত্য এলাকায়,সেখানে তার শিষ্যরা আসতেন তার কাছে জ্ঞান আহরণে।তিনি পাহাড়ের নির্জন আশ্রয় থেকে সমুদ্রে মিশে যাওয়া আকাশের দিগন্ত দেখতে পেতেন। তিনি স্থানীয়দের কাছে সিদি বোয়া সাইদ নামে পরিচিত ছিলেন।এই নামেই আজো ওই এলাকাটির নাম চালু আছে এবং এই নামেই এটি এখন তিউনিসিয়ার আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী। ফরাসী লেখক গুস্তাভ ফ্লেভার এই এলাকার নিসর্গের বর্ণনা দিয়েছেন।ফরাসী কবি লরনাড গ্যাসপার (ডি এইচ লরেন্স, রিলকে এবং জর্জ সেফেরিস অনুবাদক) দীর্ঘ সময় সিটি বোয়া সাইদে কাটিয়েছেন। গ্যাসপার এ নিয়ে "লিভিং বোয়া সাইদ" নামে বই লিখেছেন। ছবিঃ নরওয়ের জোলডেন গ্রামে পাহাড় চূড়ায় ভিটগেনস্টাইনের লেখার টেবিল। লেখক : মুহম্মদ আবদুল বাতেন
শিলগুরি করিডোর

শিলগুরি করিডোর

আজব হলেও সত্য বাংলাদেশকে সব সময় পশ্চিবঙ্গই নয়, ভারত অনেকটা ভয়ের চোখে দেখে।
কারণঃ ১) ভার ১৪ মাইল ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ শিলিগুরি করিডোর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বের ৮ টি রাজ্যের সাথে যোগাযোগ রাখে। ঘটনাক্রমে চীন এই করিডোর দখল করলে ভারত ৮ টি রাজ্য হারাবে। এই শিলিগুরি করিডোর মূলত বাংলাদেশের জায়গা যা ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানের ভাগে পরেছিলো। কিন্তু ভারতের যোগাযোগের স্বার্থে এই এলাকাসহ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ জেলা ভারতকে দেওয়া হয়। এটা খুবই সংকীর্ণ স্হান বলে চিকেন নেক বা মুরগীর গলা হিসেবে অভিহিত করা হয় । ২. প্রায় ১০ লক্ষ ভারতীয় বাংলাদেশে কাজ করে ভারতে টাকা পাঠায়। ৩. ভারত বাংলাদেশি পর্যটকদের হতে বিপুল অর্থ আয় করে। বলতে গেলে স্বাস্হ্য ও শিক্ষাখাতের আয়ের বড় অংশ আসে বাংলাদেশিদের মাধ্যমে। ৪. বাংলাদেশ চীন - পাকিস্তানের প্রভাববলয়ে পুরোপুরি চলে গেলে ভারত বাংলাদেশ হতে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা হারাবে। এসব কারণে হিন্দু নিগ্রহের অজুহাত দিয়ে ভারত কখনো জোড় দিয়ে বাংলাদেশ হতে কোন সুবিধা দাবি করে না। বরং বাংলাদেশ হতে আগত হিন্দুদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে হিন্দুদের কাছে উপস্হাপন করে।
আজারবাইজানের নতুন মানচিত্র

আজারবাইজানের নতুন মানচিত্র

তুরস্ক এখন ভূমধ্য সাগর, কৃষ্ণসাগর এবং কাস্পিয়ান সাগর পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করবে এবং মধ্য এশিয়ার সব তুর্কি ভাষী দেশগুলো নিয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলোর এক জোট তৈরী করার দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। কারণঃ
১. রাশিয়ার উদ্যোগে করা চুক্তি অনুযায়ী আর্মনিয়া আজারবাইজানের কাছে পরাজয় স্বীকার করে আজারবাইজানের ২ টা এলাকা রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করে বাকী সব এলাকা আজারবাইজানকে হস্তান্তর করার পাশাপাশি আর্মেনিয়া দ্বারা বিচ্ছিন্ন আজারবাইজানের দুই অংশকে এক করার জন্য ইরান সীমান্ত সংলগ্ন ২৪ মাইল লম্বা এলাকায় রাস্তা করার জন্য কিছু এলাকা ছেড়ে দিবে। এর ফলে তুরস্ক সরাসরি আজারবাইজান হয়ে কাস্পিয়ান সাগরে যেতে পারবে। ২. এই চুক্তির ফলে ইরান হতে আর্মেনিয়া কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে ও আর্মেনিয়া চরম বৈরী দেশগুলোর মধ্যে অবস্হান করবে। ৩. রাশিয়া আজারবাইজানের দুইটা অংশ আজারবাইজান হতে অদুর ভবিষ্যতে আর্মনিয়াকে সান্তনা হিসেবে প্রদান করতে পারে। কারণ এই দুই এলাকা পার্বত্য কারাবাখের খৃস্টান এলাকা। এব্যাপারে তুরস্ক ও আজারবাইজানও আপত্তি করবে না। কারণ এর বিনিময়ে আজারবাইজানের দুই অংশকে এক করার জন্য রাস্তার করতে আর্মেনিয়া ইরান সংলগ্ন তার স্হান ছেড়ে দিবে চুক্তির ৯ নং দফা অনুযায়ী অদুর ভবিষ্যতে। উপসংহারঃ যুগে যুগে যুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানচিত্র বদল হয় এবং দেশ প্রভাবশালী হয়। এর প্রমাণ তুরস্ক ও আজারবাইজান। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিসমার্কের মতে, যে দেশের শত্রু বেশি তার সম্মানও বেশি। যেমনঃ তুরস্ক। তার শত্রু সৌদি আরবসহ বড় বড় মুসলিম দেশ, তেমনি ফ্রান্স ও গ্রীসের মতে অমুসলিম দেশও তুরস্কের শত্রু। কিন্তু তারপরও তুরস্ক ও তুরস্কের সুলতান এরদুগানের সুনাম, সুখ্যাতি ও সম্মান। শত্রুদের অনেকেই তাদের শ্রদ্ধার সাথে সমীহ করে। বীরভোগ্য বসুন্ধরা।
আজারবাইজানের যুদ্ধ জয়

আজারবাইজানের যুদ্ধ জয়

তুরস্ক ও আজারবাইজান খৃস্টান দেশ আর্মেনিয়ার সাথে চলমান যুদ্ধে জয়লাভ করেছে। আর্মেনিয়ার খৃস্টানরা সবচেয়ে প্রাচীণ খৃস্টান ও চরম মুসলিমবিদ্বেষী সম্প্রদায়। আর্মেনিয়ান ভাষায় সবচেয়ে পুরাতন বাইবেল সংরক্ষিত আছে।
আর্মেনিয়া আজারবাইজানের পাঁচ ভাগের এক ভাগ ১৯৯৩ সাল হতে দখল করে রেখেছিলো। তুরস্কের সুলতান এরদুগান আজারবাইজানের লোকদের বল্লেনঃ" আমারা দুই দেশেরর হলেও এক জাতি ও ধর্মের লোক। চলো ভাই ও দোস্ত ! আর্মেনিয়ার সাথে যুদ্ধ করে নিজেদের সম্মান ও মর্যাদাকে তুলে ধরি। কারণ আল্লাহ বলেছেন, তোমরা লড়াই করতে থাকো যতক্ষণ না পর্যন্ত বিপর্যয় দূরীভুত হয়। এতে কাফেররা যতই মনক্ষুন্ন হোক না কেন। " তারপর দুই দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী ২৭ বছর ধরে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রশিক্ষণ নেয়। তারা এমন সব যুদ্ধাস্ত্র ও কৌশল ব্যবহার করে যা আগে কখনো ব্যবহার হয়নি। মাত্র ৩ সপ্তাহে জয় এসেছে। রাশিয়া স্বপ্রনোদিত হয়ে ১০ নভেম্বর ২০২০ তারিখ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সাথে চুক্তি করেছে। চুক্তির উল্লেখযোগ্য দিকঃ ১. ডিসেম্বর ২০২০ এর মধ্যে আর্মেনিয়ার দখলদার সৈন্যরা নিরস্ত্র হয়ে আজারবাইজান হতে সরে যাবে। ২. আজারবাইজানের নাকিচেভান প্রদেশের সাথে তুরস্কের ১১ মাইল সীমান্ত আছে। কিন্তু নাকিচেভান প্রদেশের পাশে আর্মেনিয়ার সুনিয়াক প্রদেশ। সুনিয়াক প্রদেশের ২৭ মাইল বা ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকার কারণে আজারবাইজান দুই ভাগ হয়ে আছে। এই চুক্তিতে আর্মেনিয়ার ভিতর ২৭ মাইল দীর্ঘ রাস্তা করে সরাসরি আজারবাইজানের দুই অংশে যাতায়াতের সুবিধা পাবার কথা আছে। যদি এমন অবস্হা হয়, তাহলে তুরস্ক সড়ক পথে ইস্তাম্বুল হতে পাকিস্তান ও কাজাখস্তান পর্যন্ত ৫ টা তুর্কিভাষী ও ১০ টা মুসলিম দেশের মধ্যে ইরানকে বাইপাস করেই যোগাযোগ করার সুযোগ লাভ করবে।

Thursday, November 12, 2020

মনোযোগ বাড়াতে সাজান পড়ার টেবিল

মনোযোগ বাড়াতে সাজান পড়ার টেবিল

পড়ার প্রতি মনোযোগ আনতে পারেন কয়েকটি উপায়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্যে পড়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে সবার আগে।
আর তাই পড়ার ঘরকে গুছিয়ে রাখুন সব সময়। ছোটদের জন্যই হোক বা বড়দের, পরীক্ষা হোক বা মনের খিদে মেটানো,পড়ার ঘর যেন হয় আকর্ষণীয়। তবে চলুন জেনে নিই পড়ার ঘরকে যেভাবে আকর্ষণীয় করে তুলবেন- > পড়ার ঘর যেন অবশ্যই খোলামেলা হয়। যাতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস ঢুকতে পারে। রাতের বেলার জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখুন। যাতে আপনার পড়তে কোনো অসুবিধা না হয়। > পড়ার টেবিল এবং বুক শেলফ গুছিয়ে রাখুন। পড়ার পর বইটি রেখে দিন শেলফের নির্দিষ্ট তাকে। বইপত্র ছড়ানো ছিটানো থাকলে, ঘরে ঢুকতে মোটেই ইচ্ছে করবে না। এমনকি পড়ায়ও মন বসবে না। > ঘর, পড়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র সবসময় মুছে পরিষ্কার রাখুন। ঘর বা ব্যবহারের জিনিসপত্র অপরিস্কার রাখবেন না। এতে করে পড়তে বসার ইচ্ছাই আর থাকে না। > টেবিলের পাশে বা জানলায় ছোট ছোট ফুলের গাছ রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে অর্কিড, মানিপ্ল্যান্ট, বনসাই রাখতে পারেন। এটি একদিকে যেমন ঘরের শোভা বাড়াবে অন্যদিকে মনও ভালো রাখবে। > পড়ার ঘর যতোটা সম্ভব কোলাহল মুক্ত রাখুন। তাতে মনসংযোগ ভালো হবে। বাড়ি ছোট হলেও, সবচেয়ে নিরিবিলি জায়গা বেছে নিন পড়ার ঘর তৈরির জন্য। > পড়ার ঘরে টেলিভিশন একেবারেই রাখবেন না। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকলে, স্পিকারের ভলিউম কম করে রাখুন। > পড়ার টেবিলে বেশি জিনিসপত্র না রাখাই ভালো। যতটুকু না রাখলেই নয়, ততটুকুই রাখুন। অর্থাৎ বই, খাতা, কলমদানির পাশাপাশি রাখতে পারেন ছোট্ট ফুলদানি, প্রিয় কারো পোস্টার। যা আপনাকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
সেলফোনের ব্যাটারির যত্ন নিন

সেলফোনের ব্যাটারির যত্ন নিন

মোবাইল ফোনের ব্যাটারির যত্ন নিলে ভালো থাকে। সম্প্রতি স্যামসাংয়ের নোট ৭ স্মার্টফোনের ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঘটনার পর লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি নিয়ে অনেকেই উদ্বেগে রয়েছেন। আধুনিক অনেক স্মার্টফোন ও প্রযুক্তিপণ্যে এই ব্যাটারির ব্যবহার দেখা গেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। এ ব্যাটারিতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কম। নিয়ম মেনে চার্জ দিলে ফোনের ব্যাটারি ভালো রাখতে পারবেন এবং দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কমবে।
চার্জ ধরে রাখুন : আপনার মোবাইল ফোনে বেশি করে চার্জ রাখুন। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে অধিকাংশ সময় ৫০ শতাংশ বা তার বেশি চার্জ রাখবেন। বেশি চার্জ ধরে রাখলে ব্যাটারি ভালো থাকবে বেশি দিন। চার্জশূন্য করবেন না : ব্যাটারির চার্জ একেবারে নিঃশেষ করে আবার শতভাগ পূর্ণ করার অভ্যাস বদলে ফেলুন এখুনই। এতে ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, শূন্য থেকে ১০০ রিচার্জ করাকে ‘চার্জ সাইকেল’ বলে। মাসে একবার চার্জ সাইকেল পূর্ণ করতে পারেন। এতে ব্যাটারির কার্যকারিতা বাড়বে। চার্জার ব্যবহারে সতর্ক থাকুন : যে ফোনের জন্য যে চার্জার নির্ধারিত, সেটিই ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। চার্জার সঙ্গে না থাকলে অন্য চার্জার ওই ফোনের জন্য অনুমোদিত কি না, তা দেখে নিন। নকল চার্জার ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। ফোন ঠান্ডা রাখুন : ফোন যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখুন। লি-আয়ন ব্যাটারি বেশি চার্জ হলেও কোনো সমস্যা হয় না। তবে ফোনটি যেখানে চার্জ দিচ্ছেন বা রাখছেন, সে জায়গা যেন অতিরিক্ত গরম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এতে ফোন অতিরিক্ত গরম হতে পারে। ফোন আবার অতিরিক্ত ঠান্ডা জায়গায় রাখাও ঠিক নয়। খুব বেশি ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরম ব্যাটারির কার্যক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে। ব্যাটারি খুলে রাখলেও চার্জ রাখুন : ব্যাটারি যদি খুলে রাখতে চান, তবে তাতে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ রেখে দিন। কোনো ফোন শূন্য চার্জে বেশি দিন রাখবেন না। লি-আয়ন ব্যাটারি অব্যবহৃত অবস্থাতেও প্রতি মাসে ৫ থেকে ১০ শতাংশ চার্জ শেষ করে। এটি অবশ্য তৈরির ওপর নির্ভর করে কিছুটা। বেশি দিন চার্জশূন্য রাখলে ব্যাটারি আর চার্জ ধরে রাখার অবস্থায় না-ও থাকতে পারে। সারা রাত চার্জে সতর্কতা : সারা রাত চার্জার মোবাইল ফোনে লাগিয়ে রাখলেও তেমন ক্ষতি নেই। তবে সতর্ক থাকা ভালো। এখনকার অধিকাংশ ফোনে এমন প্রযুক্তি থাকে, যাতে চার্জ পূর্ণ হলে আবার কিছুটা চার্জ শেষ করে ফেলে ব্যাটারি। আবার চার্জ নিতে শুরু করে। এভাবে চলতে থাকে। তাই সারা রাত চার্জ দিলেও সমস্যা হয় না। কিন্তু কিছু ফোন এতে অতিরিক্ত গরম হতে পারে।
কিবোর্ড দীর্ঘ দিন সচল রাখুন

কিবোর্ড দীর্ঘ দিন সচল রাখুন

ল্যাপটপের কিবোর্ড ও টাচপ্যাডের যত্ন নিতে হবে এই টিউটোরিয়ালে সেটাই তুলে ধরা হলো।
ল্যাপটপের কিবোর্ডকে ধুলো-বালির হাত থেকে রক্ষা করতে বিশেষ কি-বোর্ড স্ক্রিন পেপার ব্যবহার উচিত। ল্যাপটপের কিবোর্ডের ধরন অনুযায়ী বাজারে তা পাওয়া যায়। ময়লা হাতে কখনো ল্যাপটপ ব্যবহার করা উচিত না। এতে করে টাচপ্যাড এবং কিবোর্ডে ময়লা জমে। তাই ডিভাইসটি ব্যবহারের আগে হাতের ধুলোবালি ঝেড়ে-মুছে নিতে হবে। ল্যাপটপে গেইম খেলার সময় অনেকে কিবোর্ডে জোরে চাপ দেন। এতে কি ভেঙে যেতে পারে। তাই কিবোর্ডে সব সময় যতটা সম্ভব আস্তে চাপ দেয়া উচিত। ল্যাপটপে বেশি গেইম খেলা হলে ইউএসবি কিংবা ওয়্যারলেস কিবোর্ড ব্যবহার করা উচিত। ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় পানি, চা, কফির গ্লাস,মগ খুব সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। হঠাৎ করে তরল পদার্থ পড়ে গিয়ে টাচপ্যাড কিংবা কিবোর্ডের ক্ষতি হতে পারে। টাচপ্যাড ব্যবহারের পাশাপাশি এক্সটারনাল বা ইউএসবি মাউস ব্যবহার করতে চেষ্টা করা উচিত। এতে করে টাচপ্যাডের উপর চাপ কম পড়বে। কিবোর্ডর ফাঁকে ফাঁকে ময়লা জমলে নরম কাপড় বা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। শক্ত কোন ধাতব বস্তু দিয়ে পরিষ্কার না করাই উচিত
কলমের কালির দাগ দূর করার উপায়

কলমের কালির দাগ দূর করার উপায়

কাপড়ে একবার কলমের দাগ লাগলে সেটা পুরোপুরিভাবে দূর করা বেশ কষ্টের ব্যাপার। সঠিকভাবে এই দাগ তোলার ব্যবস্থা করতে না পারলে কালির দাগ স্থায়ী হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে কাপড় ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। আজ জেনে নেই কিভাবে কার্যকরীভাবে কালির দাগ তুলবেন।
* কালির দাগ লাগলে সেটা কখনও ঘষবেন না। এতে দাগ আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। যেস্থানে কালির দাগ লেগেছে, সেখানে কিছু পরিমাণ সাদা টুথপেষ্ট লাগিয়ে রাখুন। ১৫/২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ধোয়ার সময় ব্রাশ দিয়ে আলতভাবে ঘষুণ। দেখবেন দাগ বেশ হালকা হয়ে গেছে। * আরেকটি পদ্ধতি হলো কালি লাগা অংশটুকু কাঁচা দুধে কিছু সময় ভিজিয়ে রাখতে পারেন। কিছুক্ষণ পর সাধারণ কাপড় কাচা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে দেখবেন আস্তে আস্তে কালির দাগ হালকা হয়ে আসবে। * কিছু পরিমাণ গ্লিসারিন নিয়ে সামান্য গরম করে কালির দাগের ওপর কয়েক বার ঘষুণ। এরপর ভালো করে সাধারণ কাপড় কাচা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি সম্ভব হয় কয়েক ফোঁটা অ্যামোনিয়া যোগ করতে পারেন এই গ্লিসারিনের সঙ্গে। * আরেকটি মজার বিষয় রয়েছে। সেটি হলো চুল সুন্দর করার কাজে ব্যবহৃত হেয়ার স্প্রেও কালির দাগ দূর করে থাকে। কালির দাগের ওপর হেয়ার স্প্রে দিয়ে কয়েকবার স্প্রে করতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ রেখে শুকানোর পর ধুয়ে ফেলতে হবে। * আমরা সচরাচর নেলপলিশ উঠানোর জন্য যে রিমোভার ব্যবহার করে থাকি। রিমোভার দিয়ে অনেক সময় কালির দাগ দূর করা যায়। * আরেকটি জিনিস রয়েছে যেটি দাগ তোলার জন্য উপকার করে থাকে। আর তা হলো এলকোহল। এটি অনেক সময় ভালো দাগ দূরীকরণ উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে। কালির দাগ লাগা স্থানটি কিছু সময় এলকোহল দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে সাধারণ ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। * আমরা অনেকেই জানি লেবুর রস কালির দাগ উঠাতে কাজে আসে। কালির দাগ লাগা স্থানটিতে লেবুর রস দিয়ে ভালো করে বেশ কিছক্ষণ ঘষুণ। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতেও উপকার পাবেন। * গরম পানির মধ্যে ১ বা ২ চা চামচ ডিটারজেন্ট, ১ টেবিল চামচ হোয়াইট ভিনেগার দিয়ে কালির দাগ লাগা কাপড়টি ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।
বই বুক শেলফে রাখার টিপস্

বই বুক শেলফে রাখার টিপস্

বই রাখতে আলমারি বা বুকশেলফ তো লাগবেই। বড় তাকে ছোট বই রাখলে জায়গার অনেক অপচয় হয়। তাই বইয়ের ধরন বুঝে প্রয়োজনীয়-সংখ্যক বুকশেলফের ব্যবস্থা করতে হবে। বই গুছিয়ে রাখুন বিষয় অনুযায়ী। সহজে খুঁজে পেতে হলে বইয়ে লেবেলিং ও ট্যাগ লাগিয়ে নিন। বিষয় অনুযায়ী আলমারিতে সাবজেক্টের লেবেল লাগিয়ে নিন। শেলফ থেকে বই নিলে পড়া শেষে শেলফের ঠিক জায়গায় রাখুন। বুকশেলফের মাপ অনুযায়ী বই রাখুন। গাদাগাদি করে বই রাখবেন না। বই রাখার সর্বোত্তম পন্থা হলো খাড়া করে রাখা। একটার ওপর আরেকটা রাখলে বাঁধাইয়ের ক্ষতি হতে পারে। সাজানোর ক্ষেত্রে বই বিষয়ভিত্তিকভাবে সাজানো যেতে পারে। আবার সংগ্রহের সময় বা লেখকের নামানুসারেও সাজানো যেতে পারে। বইয়ের সংগ্রহটা বড় হয়ে গেলে ক্যাটালগিং পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। ক্যাটালগিংয়ের সফটওয়্যার ছাড়াও কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে এ ধরনের সেবা বিনা পয়সায় পাওয়া যায়।
বেঁধে রাখুন প্রিয় বন্ধুকে নিজের বুকশেলফে অনেক দিন ধরেই যত্ন করে রেখে দিয়েছেন প্রিয় কিছু বই। দিন যত যায় বইগুলোর বয়সও বাড়ে। অনেক সময় ছিঁড়েও যায়। প্রয়োজনের সময় যদি বইয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাতাটি খুঁজে না পান, তবে কেমন লাগবে আপনার কাছে! নিশ্চয়ই প্রিয় বইয়ের জন্য মনটা খারাপ হয়ে যাবে। তাই সময়মতো বইগুলো বাঁধাই করে নিন। বইয়ের আকার বড় কিংবা বেশি পৃষ্ঠার হলে মোটা মলাটে এক পাশে র‌্যাকসিন দিয়ে সুন্দর করে বাঁধাই করে নিতে পারেন। ভারী বই পড়ার সময় বুক কুশন বা রেহালে বই রেখে পড়ুন। এতে বইয়ের স্পাইন ভাঙবে না। বই উল্টে রাখবেন না বা একেবারে মুড়ে পড়বেন না। এতে বইয়ের বাইন্ডিং ছিঁড়ে যেতে পারে। বিছানায় শুয়ে বা আধা শোয়া অবস্থায় বই পড়লে যাতে বাঁধাইয়ের কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বই দেওয়া-নেওয়া কাউকে বই ধার দিলে বইয়ের নাম, যাকে দিচ্ছেন তার নাম, যোগাযোগের ঠিকানা নোট করে রাখুন। কাউকে বই ধার দিতে হলে নিশ্চিত হয়ে নিন_ তার কাছে বইটি কতটা যত্নে থাকবে। বই ধার নিলে মলাট দিয়ে ফেরত দেবেন। এতে আপনার সুরুচি প্রকাশ পাবে। লাইব্রেরির বই পড়তে নিলে লাইব্রেরি কার্ড যত্ন করে রাখুন। কারও কাছ থেকে বই পড়তে নিলে সময়মতো ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করুন। বন্ধুর সঙ্গে ভালো ব্যবহার

Wednesday, November 11, 2020

টেংরাগিরি অভয়ারণ্য

টেংরাগিরি অভয়ারণ্য

 

টেংরাগিরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য বা টেংরাগিরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বাংলাদেশে অবস্থিত একটি অভয়ারণ্য। এর স্থানীয় নাম ফাতরার বন ও অনেকের কাছে পাথরঘাটার বন কিংবা হড়িণঘাটার বন নামে পরিচিত। ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সুন্দরবনের পর এটিই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল ৪০৪৮.৫৮ হেক্টর জমি নিয়ে এই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যটি গঠিত


 

Tuesday, November 10, 2020

   আমি আকাশ দেখি : পর্ব-১

আমি আকাশ দেখি : পর্ব-১

অনেক দিন আগে একটা দূরবীন বা টেলিস্কোপ সংগ্রহ করেছিলাম। সেটা দিয় আমি আকাশ দেখি। দুরবীনের প্রসঙ্গ আসলে জ্যোতির্বিজ্ঞান জ্যোতিষশাস্ত্র এর প্রসঙ্গ আসে। এদুটার মধ্যে পার্থক্য আছে। জ্যোতির্বিজ্ঞান হলো আকাশের গ্রহ-নক্ষত্র সম্পর্কে জানার বিজ্ঞান। গ্রহ নক্ষত্রে রকেটে করে যাওয়াই হলো জ্যোতির্বিজ্ঞানের চুড়ান্ত ধাপ। জ্যোতির্বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের বলা হয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী। আর জ্যোতিষশাস্ত্রবিশারদকে বলে জ্যোতিষী। তারা গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্হান দেখে মানুষের ভাগ্য সম্পর্কে ধারণা দেন। জ্যোতিষশাস্ত্র বিজ্ঞান নয় এবং এই বিষয় ধর্মবিরোধী।

 


 

অনেকেরই প্রশ্ন জাগে, আকাশে খালি চোখে আমরা কি পরিমান তারা দেখি ?
আকাশে জ্বল জ্বল করা বস্তুগুলোকে আমরা তারা বলে থাকি। সন্ধ্যায় আকাশে ফুটে উঠতে থাকে অসংখ্য তারা। ধীরে ধীরে তারাগুলো আরও বেশি স্পষ্ট হতে থাকে। খালি চোখে বড়জোড় পাঁচ হাজার তারা দেখা যায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দুরবীন দিয়ে দেখেন লক্ষ লক্ষ তারা। যারা তারাভরা আকাশের আলোকচিত্র নিয়ে কাজ করেন তারা বলেন তারার সংখ্যা কোটি কোটি।

তারা আছে অনেক রকমের। কোনটির আলো আছে। কোনটির নেই। যাদের আলো আছে তাদের আমরা নক্ষত্র বলি। আমাদের সূর্য হলো নক্ষত্র। তার আলো আছে। তার আলোর হতে আমরা আলো পাই।
বিজ্ঞানীরা বলেন এক লিখে বারটা শূণ্য লিখলে যে সংখ্যা হয় তার সমপরিমান নক্ষত্র নিয়ে একটা গ্যালাক্সি হয়।

নক্ষত্রগুলোকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু তারা ঘুরে, তাদের বলা হয় গ্রহ। আমাদের পৃথিবী সূর্যেরই একটি গ্রহ। কারণ পৃথিবী সূর্যের চার দিকে ঘুরে। আমরা যে গ্যালাক্সিতে বাস করি তার নাম মিল্কিওয়ে। কারণ সূর্য মিল্কিওয়ের অংশ।

মিল্কিওয়ে নাম করণের পেছনে একটা কারণ আছে। বলা হয়- মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি যা গ্রীক দেবী হেরা- বুকের দুধ হতে সৃষ্টি হয়েছে। তার শিশু ছেলে দেবতা হারকিউলিস-কে দুধ খাওয়ানোর সময় তার দুধ আকাশে পড়ে যেয়ে এই গ্যালাক্সি সৃষ্টি হয়েছে। প্রাচীন গ্রীক পুরাণে এই কথাই লেখা আছে। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ২০০ হতে ৪০০ বিলিয়ন নক্ষত্রের সমাবেশ। আমাদের সূর্য হলো এই মিল্কিওয়ে গ্রালাক্সির একটি নক্ষত্র। ১০০ কোটি-তে বিলিয়ন হয়। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এই গ্যালাক্সিতে কত নক্ষত্র আছে। সাধারণত লিখে ১২ টা শূণ্য লিখলে যত সংখ্যা হয় ঠিক সেই পরিমান নক্ষত্র থাকে একটা গ্যালাক্সিতে। আর নক্ষত্রের সাথে ঘুরে গ্রহ। আর গ্রহের সাথে ঘুরে উপগ্রহ। সুতরাং এই বিষয়টা নিয়ে ভাবতে গেলে আর পড়াশোনা করতে গেলে একটা সময় জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনাটা একটা নেশার মতো মনে হবে।

 

ডিসেম্বর , ২০১৯